UsharAlo logo
শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৪০ ইসরাইলির বিপরীতে ৮০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে ছাড়ার ইঙ্গিত

usharalodesk
মার্চ ২৫, ২০২৪ ৩:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : হামাসের হাতে জিম্মি ৪০ ইসরাইলির বিপরীতে ৭০০-৮০০ জিম্মিকে মুক্তির ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির সরকার। এই অবস্থায় হামাসের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখছে ইসরাইলিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দী বিনিয়ম ও যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সুর নরম করেছে ইসরাইল। গত সপ্তাহে ইসরাইলি আলোচকেরা কাতারে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরেছেন। তারা ফেরার পরই ইসরাইল সরকারের কর্মকর্তারা এই ইঙ্গিত দিলেন।

এক ইসরাইলি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, কাতারে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রস্তাব হামাসের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে ওই প্রস্তাবে কী আছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি ওই কর্মকর্তা।

ওই কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরাইলকে জানিয়েছেন, এর আগে যে পরিমাণ ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাদের দ্বিগুণ বন্দী—সেই হিসাবে এবার ৮০০ এর কাছাকাছি ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে—এবার মুক্তি দেওয়া হবে ৪০ ইসরাইলি জিম্মির বিনিময়ে। এই বিনিময় ঘটবে ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে।

এদিকে হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির দাবিতে তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে। এর পাশাপাশি তারা ইসরাইলে এখনই নির্বাচন আয়োজনের দাবিও তুলেছেন।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে তেল আবিবের প্রাণকেন্দ্র কাপলান স্কোয়ারে হাজার হাজার ইসরাইলি বিক্ষোভ করেছেন। এসময় তারা হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তির দাবি জানান বলে শনিবার ইসরাইলি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা গাজায় আটক থাকা কয়েক ডজন ইসরাইলি বন্দির ছবি নিয়ে সমাবেশে অংশ নেয় এবং ‘এখনই নির্বাচন’ বলে স্লোগান দেয়।

একই সময়ে প্রায় ৩০০ জন বিক্ষোভকারী তেল আবিবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর সংলগ্ন বিগিন স্ট্রিট বন্ধ করে দেয় বলে ইয়েদিওথ আহরনোথ সংবাদপত্র জানিয়েছে। এসময় তারা ‘১৬৯’ লেখা একটি ব্যানার সামনে তুলে ধরে, যা চলমান যুদ্ধের দিনগুলোর সংখ্যা নির্দেশ করে।

ধারণা করা হচ্ছে, নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের গতি পরবর্তীতে আরও বৃদ্ধি পাবে এবং অন্যান্য এলাকা ও শহরেও ছড়িয়ে পড়বে।

ঊষার আলো-এসএ