ঊষার আলো ক্রীড়া প্রতিবেদক : মরুর বুকে পর্দা ওঠেছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ ফুটবল বিশ্বকাপের। রবিবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ২২তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বাংলাদেশে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করছে তিনটি চ্যানেলে। সেগুলো হলো বিটিভি, টি স্পোর্টস এবং গাজী টিভি।
বিশ্বের বেশ কিছু বড় বড় শিল্পী কাতারে মানবাধিকার লংঘনের প্রতিবাদে এই অনুষ্ঠান থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। এরপরও জমজমাট উদ্বোধনই দেখছে বিশ্ব। কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের কিংবদন্তী ফুটবলার, ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মার্শেল দেশাই প্রথমে বিশ্বকাপ ট্রফির প্রদর্শনী করেন স্টেডিয়ামে স্থাপিত মঞ্চে। তুমুল করতালি এবং চিয়ার্স ধ্বনির মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফিকে বরণ করে নেন দর্শকরা।
অনুষ্ঠানে কাতারের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি তুলে ধরে মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী দেখান পারফরমাররা। একই সঙ্গে আলোর দুর্দান্ত সব কারুকাজ। এর মধ্যেই প্রদর্শিত হলো অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পতাকা।শুরু হলো ফুটবল বিশ্বকাপ। জাঁকজমকের মাধ্যমে দোহার আল বায়াত স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে দেওয়া হলো ঐক্যের বার্তা, সাম্যের বার্তা। ফুটবলই যে দুনিয়াকে এক করতে পারে বার বার বলা হলো সে কথাও।
মাঠে খেলার গড়ানোর আগেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ, বিয়ার বিতর্কসহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা-সমলোচনা শুরু হয় কাতার বিশ্বকাপ ঘিরে। তবে সেসব অভিযোগে ভুলিয়ে দিতেই পর্দা উঠলো কাতার বিশ্বকাপের। সবকিছু ছাপিয়ে এখন ফুটবল উৎসবে মেতে থাকবে বিশ্ব। পারস্য উপসাগরের তীরে বিশ্বকাপের মহারণে সামিল হবে সবাই। আগামী এক মাস বিশ্বের শতকোটি চোখ থাকবে কাতারে।
দোহার আল বায়েত স্টেডিয়ামে উদ্বোধীন অনুষ্ঠানে ছিলেন অর্ধলক্ষাধিক দর্শক। প্রথা মেনে শুরুতে বিশ্বকাপের ট্রফি মাঠে আনা হয়।
অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির হন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও কাতারের শাসক তামিম বিন হামাদ আল থানি।
এরপরই শুরু হয় সংগীতের তালে তালে কাতারের স্থানীয় সংস্কৃতিক সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনা। অনুষ্ঠানপর্ব শুরু হয় মর্গান ফ্রিম্যানের উপস্থাপনায়। মঞ্চে হাজির হয় কাতার বিশ্বকাপের ম্যাসকট লাইব।
বিশ্বকাপের গান ড্রিমার্স নিয়ে মঞ্চে আসেন বিটিএস-এর গায়ক জুং কুক। সঙ্গে ছিলেন কাতারি গায়ক ফাহাদ আল কুবাসি।
জিং কুকের গান শেষে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন কাতারের আমির শেখ হামিম বিন হামাদ আল থানি। সবাইকে স্বাগত ও শুভ কামনা জানিয়ে ভাষণ শেষ করেন তিনি। এর মধ্যে দিয়েই শেষ হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। পর্দা ওঠে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ বিশ্বকাপের।