ঊষার আলো প্রতিবেদক : ঈদ পর্যন্ত খুলনায় করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন প্রথম ডোজ গ্রহণকারিরা। প্রথম ডোজ নেয়া আছে এমন প্রায় ৪০ থেকে ৪২ হাজার মানুষ করোনার দ্বিতীয় ডোজ সহসাই নিতে পারছেন না। খুলনায় করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং নতুন ডোজ না আসায় এ অবস্থা তৈরী হয়েছে। এ দিকে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে গিয়েও ফিরে আসতে হচ্ছে এমন অভিযোগও রয়েছে। গত শনিবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় ডোজ এসে না দিতে পেরে হৈ চৈ হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে । অপরদিকে ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট সন্দেহে তিন জনের নমুনা রোববার (২ মে) পরীক্ষার জন্য যাচ্ছে ঢাকায়। ঈদের পর থেকে করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবে না ৪০ থেকে ৪২ হাজার জন।
——————————————————————–
করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ মজুদ আছে ১৭১৩ ভায়াল
ঈদ পর্যন্ত করোনার টিকা নিতে পারবেন ১৭ হাজার ১৩০ জন।
ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট সন্দেহে তিন জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে ঢাকায়।
এখন পর্যন্ত ১২ সপ্তাহ পরও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করে সর্বোচ্চ কার্যকর দেখা গেছে বৈজ্ঞানিক গবেষনায়
——————————————————————–
খুলনা সিভিল সার্জন এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত যে পরিমান করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ মজুদ রয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ৭৪৪ ভায়াল ও জেলায় রয়েছে ৯৬৯ ভায়াল, মোট ভায়াল ১৭১৩ ভায়াল। যা দিয়ে ঈদের আগ পর্যন্ত করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন ১৭ হাজার ১৩০ জন। প্রথম ডোজ নেয়া প্রায় ৪০ থেকে ৪২ হাজার মানুষ ঈদের পর করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না বলছেন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ সিভিল সার্জন খুলনা। তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তীতে তাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় পুনরায় নেয়া জানিয়ে দেয়া হবে। খুলনায় বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ডোজ শেষ হয়ে যাওয়ায় এই অবস্থা।
ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট সন্দেহে তিন জনের নমুনা ঢাকায় প্রেরণ : অপরদিকে, খুলনায় ভাইরাসটির ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত করোনা রোগী এখন পাওয়া যায়নি। তিন জন সন্দেহভাজন হওয়ায় তাদের নমুনা ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, এই তিন জনের একজনের বাড়ী পাইকগাছায় আর দুই জনের বাড়ি খুলনা শহরে।
প্রথম ডোজ নেওয়ার কত দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে: করোনার প্রথম ডোজ নেয়ার কত সপ্তাহের ভিতরে দ্বিতীয় ডজ নিতে হবে এমন প্রশ্নে সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, রোববার (২ মে) বিদেশি গণমাধ্যম বিবিসি দেখিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ গ্রহনের ১৬ সপ্তাহ পরও দ্বিতীয় ডোজ নেয়া যাবে। এটি আমাদের দেশে পাশ হলে কোন সমস্যা হবে না। এখন পর্যন্ত যতদুর যানাগেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহ পর দিয়েও সর্বোচ্চ কার্যকর ক্ষমতা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে প্রথমে চার সপ্তাহ পর করোনার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কথা বলা হলেও পরে আট সপ্তাহ পর করোনার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়।
রবিবার পর্যন্ত জেলায় টিকা নিয়েছেন ৯৩ হাজার ৪৫১ জন : এ দিকে জেলায় (রবিবার) এ পর্যন্ত ৯৩ হাজার ৪৫১ জন করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৫৮ হাজার ১৮৯ এবং মহিলা ৩৫ হাজার ২৬২ জন। আজ মোট ৩ হাজার ৩৮১ জন করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এর মধ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এক হাজার ৪২০জন এবং নয়টি উপজেলায় মোট এক হাজার ৯৬১ জন। উপজেলাগুলোর মধ্যে দাকোপ ৩৬৮ জন, বটিয়াঘাটায় ২৫০ জন, দিঘলিয়া ৮০ জন, ডুমুরিয়া ৫৮৭ জন, ফুলতলা ৯০ জন, কয়রা ১৫৬ জন, পাইকগাছা ২৯০ জন, রূপসা একশত জন এবং তেরখাদায় ৪০ জন টিকা গ্রহণ করেছেন। টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৮৯৮ এবং মহিলা এক হাজার ৪৮৩ জন। খুলনা সিভিল সার্জন দপ্তর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসকল তথ্য জানানো হয়েছে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)