UsharAlo logo
শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানকে আরও ৫০ কোটি ডলার সহায়তা দিল চীন

usharalodesk
মার্চ ৪, ২০২৩ ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে অর্থনৈতিক সংকটে টালমাটাল পাকিস্তানকে আরও ৫০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে চীন। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসাক দার শুক্রবার এক টুইটবার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এক টুইটবার্তায় ইসাক দার জানান, পাকিস্তানের ঋণ সহায়তার জন্য আবেদন করার পর সম্প্রতি পাকিস্তানের জন্য ১৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়ালি ব্যাংক লিমিটেড (আইসিবিসি)। সেই ঋণেরই প্রথম কিস্তি এসেছে শুক্রবার।

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানকে ৭০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছিল চীনের রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান চায়না ডেভেলেপমেন্ট ব্যাংক।টুইটবার্তায় ইসাক দার জানিয়েছেন, তিন কিস্তিতে এই সহায়তা প্রদান করবে আইসিবিসি। তার মধ্যে প্রথম কিস্তি ইতোমধ্যে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এসে পৌঁছেছে।

দশকের পর দশক ধরে দেশের ক্ষমতাকাঠামোতে সামরিক বাহিনীর প্রাধান্য, দুর্নীতি, অপচয়-অপব্যায়ের জেরে ভয়াবহ রিজার্ভ সংকটে পড়েছে পাকিস্তান। কোনো দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৩ মাসের আমদানি ব্যায়ের সমপরিমাণ ডলারের মজুত থাকতে হয়, কিন্তু পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যে পরিমাণ ডলারের মজুত আছে, তা দিয়ে বড়জোর দু’সপ্তাহের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ৩ ফেব্রুয়ারি দেওয়া হিসাব অনুসারে, চলতি ২০২৩ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ১৭ কোটি ডলার কমে গেছে। এখন এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯০ কোটি ডলার।পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণ সহায়তা চায়।

এ নিয়ে কথাবার্তাও শুরু হয়েছিল। তবে বর্তমানে সেই আলোচনা ‘ঝুলে যাওয়ায়’ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এ অর্থের ছাড় এখনো হয়নি।জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রাধিকার পরিবর্তন করেছে আইএমএফ। ফলে, দু’পক্ষের ঐকমত্য আবারও পিছিয়ে যাচ্ছে।

এসব কারণে পাকিস্তান ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তানি রুপির দাম পড়তে পড়তে এখন ডলারপ্রতি ২৬৫ রুপিতে পৌঁছেছে । বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ তলানিতে ঠেকেছে। ১৯৯৮ সালের পর থেকে এখন সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে রিজার্ভ।

রিজার্ভ নেমে যাওয়ায় পাকিস্তানে এখন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে খাদ্য-জ্বালানি-বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম। আটা, ডাল, চাল, দুধ—সবকিছুরই দাম এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ফলে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে আছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।

গত মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, কৃচ্ছ্রসাধনের অংশ হিসেবে পাকিস্তানের মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের ভাতা ও ভ্রমণ ব্যয় কাটছাঁট করছে দেশটির সরকার। তার সরকার কৃচ্ছ্রসাধন অভিযানের মাধ্যমে বার্ষিক ২০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি সাশ্রয় করতে চায়।এমনই এক সংকটময় পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে সম্ভাব্য চরম বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে দেশটির পাশে দাঁড়াল দীর্ঘদিনের মিত্র চীন।

ঊষার আলো-এসএ