মণিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুরের এড়েন্দা গ্রামের দিনমজুর তৈয়ব আলীর ছোট ছেলে বাপ্পি ইসলাম (১৫)। যশোরের কচুয়া হাইস্কুলমাঠ সংলগ্ন হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার ছাত্র বাপ্পি। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে টানাটানির সংসার তৈয়বের। দিন এনে দিন খাওয়া পরিবারটির চলছিল মোটামুটি। কিন্তু বিপত্তি ঘটে দুইমাস আগে। তখন মাদরাসা মাঠে খালি পায়ে ফুটবল খেলতে গিয়ে বিষক্ত সাপের কাটা ফোটে বাপ্পির বাম পায়ে। এরপর দ্রæত পচন ধরে যায় পায়ের পাতায়। কিশোর বাপ্পির পরিবার জানান, স্থানীয় ডাক্তার দেখিয়ে কোন ফায়দা মেলেনি। পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ফিরোজ মাহমুদুলকে দেখানো হয়েছে। তিনি অপারেশন করে বাপ্পির পায়ের পচা মাংস ফেলে দেন। চিকিৎসক বলেছেন দ্রæত আরেকটি অপারেশন করাতে হবে। তৈয়ব আলী বলেন, টানাটানির সংসারে কোন রকমে ছেলের ওষুধ কেনাটা চলছে। ভাল কোন হসপিটালে ভর্তি করাতে পারছিনা। ডাক্তার বলেছে তাড়াতাড়ি অপারেশন করাতে। তাতে ২০ হাজার টাকা লাগবে। এতটাকা পাব কনে। এদিকে বাপ্পির চিকিৎসার সহায়তা চেয়ে তার বন্ধুরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে তিন দিন আগে। তারা বাপ্পির চিকিৎসা খরচ জোগাড় করার চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয় আসার আহবান জানিয়েছেন তারা। বাপ্পির চিকিৎসায় সহায়তা পাঠাতে পারেন তার পিতার এই নম্বরে- ০১৭৬৩৮৬৫৮৩৩ (নগদ)। বাপ্পির সহপাঠী মাহমুদুল হাসান সোহাগ জনায়, দরিদ্র পিতা যা আয় করছেন তাতেই তার ঔষধ কেনা চলছে। সকলে মিলে অর্থ সংগ্রহ করে দিতে পারলে ঈদের পর বাপ্পির অপারেশন হবে, ইনশাআল্লাহ। বাপ্পি খুবই ভদ্র ছেলে। মুখে সবসময় আল্লাহর নাম ছাড়া কথা নাই। তার ইচ্ছা সে একজন প্রকৃত হাফেজ হবেন। আল্লাহ তার মনের আশা পূরণ করুর। তাকে সুস্থ করে দিক।
(ঊষার আলো-আরএম)