বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের ফকিরহাট বাজারের একটি দোকানে চুরির অপরাধে হাত-পা বেধে প্রকাশ্য জনসম্মুখে একজন নারীকে নির্দয় নির্যাতনের ঘটনায় ফাতেমা বেগম ওরফে নার্গিস (৪৬) নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ দেখে সোমবার রাতেই হামিদা বেগম ও নার্গিস বেগম নামের দুইজন নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নার্গিস বেগম কে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। আর হামিদা বেগম কে ছেড়ে দেয়া হয়। গ্রেফতার ফাতেমা বেগম ওরফে নার্গিস রুপসা নৈহাটি এলাকার রবিউল ইসলামের স্ত্রী। তবে ওই নারীকে আটক করে পুলিশে না দিয়ে নির্যাতনকারিদের হাতে তুলে দেয়া বাজারের কোন ব্যবসায়িকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। ফলে কথিত চুরির অপবাদে আইনের কাছে না দিয়ে মমতাজ বেগম নামের একজন বহিরাগত নারীকে প্রকাশ্য জনস্মুখে মারপিটের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় থানা পুলিশের ভুমিকা ইতোমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, গত রবিবার দুপুরে ফকিরহাট উপজেলা সদরের বাজারে মমতাজ বেগম নামের ওই নারীকে নির্যাতন করে বাজারের ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন ও তার সহযোগিরা। বাজারের লিটন মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানে চুরির অভিযোগ এনে ওই নারীকে প্রকাশ্য জনসম্মুখে পিঠ মোড়া দিয়ে বেঁধে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ফকিরহাট থানা পুলিশ বাজার ব্যবসায়িদের হাত থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়। এ ঘটনায় ফকিরহাট থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের হয়েছে। থানা পুলিশ সোমবার দুপুরে মমতাজ বেগম নামের ওই নারীকে চুরি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বাগেরহাট আদালতে প্রেরন করে। অপরদিকে মমতাজ বেগম কে মারপিটের অভিযোগে সে নিজে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে অপর একটি মামলা করেছেন। এ বিষয়ে ফকিরহাট থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আলীমুজ্জামান মঙ্গলবার দুপুরে এ প্রতিবেদক কে বলেন, মমতাজ বেগমের মামলায় গোপন ভিডিও ফুটেজ দেখে সোমবার রাতে দুই নারীকে আটক করা হয়। এদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ফাতেমা বেগম নার্গিস নামের একজন কে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। আর মমতাজ বেগম কে নির্যাতনে জড়িত বাকীদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। কারন আইন হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারো নাই।
(ঊষার আলো-আরএম)