ঊষার আলো রিপোর্ট:রাজধানীর মালিবাগে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আর র্যাবের হাতে গ্রেফতার দুজন হলেন- আদনান আসিফ ও মো. শাকিল।গ্রেফতার ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে কিনা, সে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি র্যাব বা গোয়েন্দা পুলিশের সংবাদসম্মেলনে।
গত ২১ জুলাই মধ্যরাতে রাজারবাগ এলাকা থেকে মালিবাগের গুলবাগে বাসায় ফেরার পথে ৩৬ বছর বয়সি রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক রুবেল ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন।ওই ঘটনায় তার স্ত্রী, মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী তানজিনা দেওয়ান শাহজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
রোববার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে দুজনকে গ্রেপ্তারের খবর দেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, রুবেল এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ এবং ডিমের পাইকারি ব্যবসা করতেন। ইদানিং তিনি পানির ব্যবসায় যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এলাকার আধিপত্য নিয়ে তার সঙ্গে শাহজালালের বিরোধ চলছিল। উচিত শিক্ষা দিতে যুবলীগ নেতা রুবেলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন শাহজালাল।
এদিকে দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ৮ জনকে গ্রেফতারের খবর জানান পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, রুবেলের সঙ্গে স্থানীয় নিবিড় ও শাহজালালের আধিপত্য নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। এর জেরে নিবিড় ও শাহজালাল দুজন মিলে রুবেলকে মারার জন্য হাবিবের সঙ্গে চুক্তি করে।
হাবিবকে চাপাতি কেনার ৪ হাজার টাকা দেয় নিবিড়। সেই টাকায় খিলগাঁও বাজার থেকে দুটি চাপাতি কেনে হাবিব। ঘটনার আগের দিন শাহজালাল ও হাবিব দুজনে রুবেলকে মারার পরিকল্পনা করে।
ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, ঘটনার দিন একজন মোটরসাইকেল নিয়ে রুবেলের গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকেন। হাবিব, আলিফ চাপাতি নিয়ে রুবেলের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। মেহেদী হাসান ও সানি দুই পাশে পাহারায় থাকেন।
রুবেল রিকশায় বাসার দিকে রওয়ানা দিলে হাবিরের কাছে খবর চলে আসে। রুবেলকে রিকশায় দেখেতে পেয়ে হাবিব এবং আলিফ চাপাতি নিয়ে ধাওয়া দিলে রুবেল দৌড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। হামলাকারীরাও পেছন পেছন দৌড়ে রুবেলকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকেন। পরে হাসপাতালে মারা যান রুবেল।
ঊষার আলো-এসএ