ঊষার আলো রিপোর্ট: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত পাঁচ ছাত্রীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অভিযুক্তদের এমন শাস্তিতে ন্যায়বিচার পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ফুলপরী। অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফুলপরী বলেন, আজকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাঁচজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে। উনারা অপরাধ করেছেন, সেজন্য শাস্তি পেয়েছেন। এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ফুলপরী আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে যদি এরকম বিচারব্যবস্থা থাকে তাহলে এরকম কাজ আর কখনো হবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে নিরাপদভাবে পড়াশোনা করতে পারবে।
অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আবেদনও জানান।
এদিকে বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাচ্ছুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী
ওই পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরীকে রুমে ডেকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তের পালটা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়।
তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় গত ৪ মার্চ পাঁচ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি ছাত্রলীগ থেকেও তাদের বহিষ্কার করা হয়।
ঊষার আলো-এসএ