ঊষার আলো রিপোর্ট : দুই ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের চার উপগ্রুপের উত্তেজনা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয়ে রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত উত্তেজনা চলে। এতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দুই ঘটনায় আহত চার ছাত্রলীগ কর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চবি মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের হাটহাজারী যাওয়ার খবরে সিএফসি ও বিজয় উপগ্রুপের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেট এলাকায় ভিড় জমান। এ সময় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা একে অপরকে কিল ঘুষি ও লাঠি সোটা দিয়ে মারধর করেন।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক ও বিজয়ের নেতা নয়ন চন্দ্র মোদক বলেন, আমরা আমাদের কর্মীদের নিয়ে নওফেল ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেখানে রুবেল বহিরাগত কিছু ছেলে নিয়ে আমাদের ছেলেদের নানাভাবে হয়রানি করে। যার ফলে আমাদের ছেলেরাও উত্তেজিত হয়ে যায়। এরপর দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়।
তবে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন সিএফসির এক পক্ষের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল।
অপরদিকে বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের জেরে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপ সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার দিনভর শাহজালাল ও শাহ আমানত হলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। পরে সন্ধ্যায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই হলে থাকা দুই উপগ্রুপের নেতাকর্মীরা। এ সময় দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পালটা ধাওয়া চলে।
এসব বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, শিক্ষার্থীরা অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে। নৈতিকতার অবক্ষয়, হিরোইজম, প্রশাসনের ব্যর্থতাসহ নানান কারণ রয়েছে। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করছি বিষয়গুলো সমাধানের।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদার বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এখানে প্রশাসনের কোনো ব্যর্থতা নেই। ছাত্রলীগের ছেলেদের বোঝানোও আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তারা উত্তেজিত হলে আমরা চেষ্টা করি তাদেরকে প্রশমিত করতে, কারণ তারাও বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র।
ঊষার আলো-এসএ