আরো একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন। একই সাথে এবার ও তিনি অভিভাবক কে অর্থদণ্ড করেছেন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিনি দুইটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছেন।
জানা গেছে শুক্রবার বিকালে উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের আমিরুল মোড়ল তার ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোরী মেয়েকে শুক্রবার বিকালে পার্শ্ববর্তী রামনগর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে খায়রুল ইসলামের সাথে অবৈধ নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বাল্য বিবাহের আয়োজন করেন। এ খবর জানতে পেরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন তাৎক্ষণিক ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। সাথে সাথে তিনি বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে ওই কিশোরী কে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করেন এবং বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মেয়ের পিতা কে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন।
এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক আলতাফ হোসেন, পেশকার দীপঙ্কর প্রসাদ মল্লিক, আনসার কমান্ডার আবু হানিফ, ইউনিয়ন লিডার ফয়সাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পরিশেষে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ের কোনো বৈধতা নেই উল্লেখ করে কিশোরী মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করার নির্দেশনা দিয়ে তার লেখাপড়ার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন।
উল্লেখ্য এর আগে ইউএনও মুহাম্মদ আল-আমিন গত ১৫ ডিসেম্বর উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের লেবুবুনিয়া গ্রামে একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন।
ঊআ-কেআ