বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, নৌকায় ভোট দিলে এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, দেশের মানুষ শান্তিতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি পায়। গৃহহীন মানুষরা জমি সহ ঘর পাই। দুস্থ ও অসহায় মানুষরা সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টুনির আওতায় আসে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে যায়। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জন করে। সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে খাদ্য সামগ্রী কিনতে পারে। দেশের কোন মানুষ না খেয়ে থাকেনা। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। কোন মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয় না। উন্নয়ন, অগ্রগতি ও অর্থনীতিতে এগিয়ে যায়। মানুষ উন্নত জীবন-যাপন করে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, জামায়াত-বিএনপি উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। এ জন্য তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন প্রতিহত করতে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। এসব ষড়যন্ত্রে বিদেশে বসে মদদ দিচ্ছে খালেদা পুত্র তারেক রহমান। তিনি বলেন, উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট প্রদানের মাধ্যমে বিএনপি জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। তিনি সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে দলীয় নেতাকর্মী সহ এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বুধবার বিকালে পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ফুটবল মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা-৬ আসনের নৌকা প্রতীকের বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টুর সভাপতিত্বে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোঃ রশীদুজ্জামান। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু ও যুগ্ম সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, আলহাজ¦ শেখ মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডাঃ শেখ মোহাঃ শহীদ উল্লাহ, খায়রুল আলম, শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত, কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম মহসীন রেজা, সাধারন সম্পাদক নিশিথ রঞ্জন মিস্ত্রী, আওয়ামী লীগনেতা সমীরণ সাধু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু,
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া, কওছার আলী জোয়াদ্দার, রিপন কুমার মন্ডল, আব্দুল মান্নান গাজী, কাজল কান্তি বিশ্বাস, কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন, নূরুল ইসলাম কোম্পানি, আছের আলী মোড়ল, এসএম বাহারুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ গাজী, শাহ নেওয়াজ শিকারী, জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম, নাহার আক্তার, আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আব্দুল মজিদ গোলদার, আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, আলহাজ¦ মুনছুর আলী গাজী, রুহুল আমিন বিশ্বাস, আমির আলী গাইন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ মাহাফুর রহমান সোহাগ, নির্মল অধিকারী, শেখ ইকবাল হোসেন খোকন, বিজন রায়, বিভূতি ভূষণ সানা, নির্মল মন্ডল, কবিতা দাশ, মৃণাল কান্তি বাছাড়, পার্থ প্রতীম চক্রবর্তী ও ফাইমিন সরদার।