খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সহায়তায় তৈরি করা হচ্ছে অত্যাধুনিকমানের গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র (আরআইসি)। গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও জটিল জাতীয় সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে গতকাল বিকেলে এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্টে অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্পের সম্মেলন কক্ষে ইডিজিই প্রকল্প ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এক এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক মো. সাখাওয়াৎ হোসেন এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী এই এমওইউতে স্বাক্ষর করেন।
এমওইউতে স্বাক্ষরকালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদার, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. রামেশ্বর দেবনাথ এবং ইডিজিই প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ইডিজিই প্রকল্পের কো-টিম লিডার (কম্পোনেন্ট-৩) ফারুক আহমেদ জুয়েল।
এ বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে মৌলিক গবেষণা ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টি। এজন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করাও জরুরি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মানোন্নয়ন ও বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণামুখী করতে গুরুত্বারোপ করেছেন। এই এমওইউ স্বাক্ষরের ফলে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কেন্দ্র স্থাপনে ইডিজিই প্রকল্পের সাথে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমের প্রসার ঘটবে এবং এই আরআইসির মাধ্যমে এতদাঞ্চলের উপকৃত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি এমওইউ স্বাক্ষর হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, ইউজিসি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধানে উন্নতমানের গবেষণা ও উদ্ভাবনে অর্থায়ন করবে ইডিজিই প্রকল্প। এছাড়া সংস্কার, যথাযথ সুযোগ-সুবিধা স্থাপন এবং উপযুক্ত ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে আরআইসি পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত স্থান প্রস্তুত, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং উদ্ভাবনের সুবিধার্থে আরআইসিকে প্রয়োজনীয় ল্যাব, কম্পিউটিং এবং গবেষণা সরঞ্জাম সরবরাহ, গবেষণার ক্ষেত্রগুলো এবং শিল্পসহ স্টেকহোল্ডারদের জড়িত সমস্যাগুলো সনাক্ত করতে সহায়তা প্রসারিত করা, যা দেশের প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে আরআইসিতে গবেষণা কার্যক্রম শুরু, সমগ্র বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া জুড়ে পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন, প্রযুক্তিগত পর্যালোচনা এবং পর্যায়ক্রমিক প্রতিবেদনের জন্য সাধারণ নির্দেশিকা ও সহায়তা প্রদান, উদীয়মান প্রযুক্তিতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য এটিকে একটি টেকসই হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আরআইসিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে অংশীদার বিশ্ববিদ্যালয়কে সহায়তা করা এবং উদ্ভাবনের মতো প্রচারমূলক ইভেন্ট আয়োজনে আরআইসিকে সহায়তার বিষয় এমওইউতে উল্লেখ রয়েছে।