ঊষার আলো রিপোর্ট : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে নবীন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনার প্রকাশ্যে আসার পর ‘আত্মগোপনে’ রয়েছেন অভিযুক্তরা। তাদেরকে হল বা ক্যাম্পাসে দেখা যায়নি। মোবাইল ফোনেও তাদেরকে পাওয়া যাচ্ছে না। হলের আবাসিক শিক্ষক ও নিরাপত্তাকর্মীরা হলে গিয়ে সন্ধান করলেও তাদেরকে খুঁজে পায়নি।
ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ছাত্রলীগ কর্মী হওয়ায় নেতারা তাদেরকে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতে নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপর তারা মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে গা-ঢাকা দেন।
এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি কার্যক্রম শুরু করবে আজ (শনিবার)। এ ছাড়া হল প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করলেও শনিবার তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, আমরা শনিবার কমিটির সবাই মিলে বসবো। তারপর ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব নথি ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সংগ্রহ করে তদন্তের পরবর্তী রূপরেখা তৈরি করব।
হল প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, আমরা প্রাথমিক পরামর্শ করেছি। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তথ্য সংগ্রহের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। যেখানে যে কেউ ওই ঘটনা সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত আমাদেরকে পরিচয় গোপন রেখে জানাতে পারবেন। এর পরবর্তীতে আমরা কমিটির সবাই বসে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে ছাত্রলীগের বিবৃতি
র্যাগিংয়ের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ। অভিযুক্তরা ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত ক্যাম্পাসে পরিচিত হলেও ‘অপরাধীর কোনো সাংগঠনিক পরিচয় নেই, অপরাধীর বড় পরিচয় সে অপরাধী’ উল্লেখ করে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
এতে বলা হয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয় না। আমরা চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উক্ত ঘটনায় অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা হোক।
ঊষার আলো-এসএ