ঊষার আলো রিপোর্ট : সক্ষমতা বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আসন সংখ্যা আরও কমিয়ে আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এবার ঢাকা ছাড়াও বিভাগীয় শহরগুলোতে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় ঢাবি ক্যাম্পাসে চাপ তুলনামূলক কম ছিল।
শনিবার সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অবিভাবকদের ভিড় করতে দেখা যায়। পরীক্ষার জন্য আগত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও ছাত্র সংগঠনের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে। এর মধ্যে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ অংশের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪৫ মিনিট। ৪০ নম্বরের লিখিত অংশের জন্য ছিল ৪৫ মিনিট।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে এক হাজার ৪০টি আসনের জন্য ৩৭ হাজার ৬৫০ জন আবেদন করেছেন। আসনপ্রতি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ৩৬ জন।
কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ঢাবি উপাচার্য বলেন, মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় বলতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সক্ষমতা তা বিবেচনায় রেখেই ভর্তি পরীক্ষায় আমরা কতজন ভর্তি করাবো সেটি নির্ধারণ করতে হবে। ইতিমধ্যেই আমরা এই সংখ্যাকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও এ সংখ্যা আরও যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে। অর্থাৎ আসনসংখ্যা কমানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, এবার ঢাকার মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছে ২৬ হাজার ১১০ জন শিক্ষার্থী এবং ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতে পরীক্ষা দিচ্ছে ১১ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থী।
ঊষার আলো-এসএ