চাঁদা না দেওয়ায় গরম পানি দিয়ে পুড়িয়ে ঝলসে দেওয়া ও শিশুসহ মারপিটের অভিযোগ এবং হুমকি ধামকির প্রতিবাদে আজ দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী খাদিজা আক্তার (২১)। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,আমি খাদিজা আক্তার , নূরনগর বিশ্বাসপাড়া এলাকায় বসবাস করি। আমার বাবা মোঃ আলাউদ্দিন গাজী ছোট বয়রা হাসানবাগ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চা, সিগারেট ব্যবসা করে আসছি এবং আমার বাবা অসুস্থ থাকার কারণে ভারি কাজ না করতে পারায় উক্ত ব্যবসা করে কোন রকমে জীবনযাপন করছি।
এমন অবস্থায় ছোট বয়রা হাসানবাগ আওয়ামিলীগ নেতার ছেলে চয়ন কাজি প্রায় সময় দোকান থেকে বাকী খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়। এবং টাকা চাইলে হুমকি ধামকি ও গালিগালাজ করে চলে যায়। এভাবে তার নিকট ১৯৫০ টাকা পাওনা টাকা চাইলে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে সাড়ে সাতটায় আমার মা শিল্পী বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে এবং দোকান ভাংচুর করে এবং দোকানের খাবার এবং পিঠা তৈরির গুড়ি ফেলে দেয়। পিঠা তৈরির চুলায় লাথি মারলে চুলার গরম হাড়ি আমার আম্মুর হাতে লেগে ঝলসে যায় এবং এর পর দাড়ানোর আগে চয়ন একটি ইট দিয়া আমার মায়ের মুখে আঘাত করে। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা থাকাকালিন ২৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে সকাল সাড়ে নয়টায় আমার ভাই ছোট শিশু সিফাত গাজীকে(১০) রাস্তার উপর ফেলে কিল ঘুসি ও লাথি মেরে আহত করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার পর আমি ( খাদিজা আক্তার) তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাই। তারপর সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় বিচারের আশায় গিয়ে অভিযোগ করি। কি বিকালে এস আই সোহেল রানা ঘটনাস্থলে এসে সব তদন্ত করে চলে যায় কিন্তু কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়না এবং আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করেনা।
এপর্যায়ে আমরা সোনাডাঙ্গা সহকারী কমিশনার এসি নাসির স্যারের নিকট যাই, স্যার তদন্ত অফিসার আমিরুল ইসলাম স্যারকে বিষয়টি দেখতে বলেন। আমিরুল স্যার ২৭ তারিখ রাতে ৮টায় আমাদের থানায় ডেকে নেয় এবং আসামির চয়নের দুই বন্ধু চান্দু এবং টিটু থানায় উপস্থিত হয়। আমিরুল স্যার সবকিছু শুনে বললেন আসামি হাজির না হওয়ায় মামলা দিয়ে দেয়ার কথা বলে। তারপর ঐ দিন রাতে মামলা নেয়ার কথা বলে রাত ২টা পর্যন্ত আমাকে বসিয়ে রাখে।
কিন্তু অদৃশ্য কারণে মামলা না করে শুধুমাত্র একটি অভিযোগ গ্রহন করেন। এরপরও থানা থেকে কোন ব্যবস্থা না পাওয়ায় আসামি একের পর এক হুমকি দিতে থাকায় আমরা দিশেহারা হয়ে ২৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে সকালে ১২টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হই। জনৈক সাংবাদিক ওসি সাহেবকে ফোন দিলে তারপর আমাদের থানায় ডেকে সাধারণ অভিযোগ গ্রহণ করা হয় । প্রমান স্বরুপ আমার ফোনে একটি ম্যাসেজ আসে।
দশদিন যাবৎ আমাদের ইনকাম না থাকায় পরিবারের সবাই অনাহারে দিনযাপন করছি এবং আমাদের সহ সাক্ষীদেরকে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। সাথে জড়িত আছে চান্দু, টিটু, হিমেল, এনায়েত কাজি।তাই আজ আমরা নিরুপায় হয়ে আপনাদের নিকট হাজির হয়েছি।