ঊষার আলো ডেস্ক : রাঙামাটির দূর্গম পথ পাঁড়ি দিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দীর্ঘ আঁকা-বাঁকা, উঁচু-নিচু পাহাড়ের রাস্তার পথ হেঁটে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকল পাহাড়ী-বাঙালি জনগোষ্ঠীদের করোনা মোকাবেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ সামগ্রীসহ গরীব, অসহায় ও দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন জোনের সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড(বিজিবি) ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ গত বছরের চেয়ে এ বছর দ্বিতীয় ধাপে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেজন্য তাৎক্ষণিক দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে লকডাউন দিতে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। লকডাউনকে কার্যকর করতে অন্যান্য জেলার পাশাপাশি তিন পার্বত্য জেলাতেও কঠোর নজরদারীতে পুলিশ বাহিনীসহ সেনা, বিজিবি, জেলা প্রশাসনকে ভূমিকা পালন করতে হয়েছে। করোনা সংক্রমণের মোকাবেলায় গরীব, অসহায় ও দুঃস্থদের জীবন ধারণে খাদ্যের সংকট কাটিয়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত আর্থিক সহায়তাসহ খাদ্য সরবরাহে ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে চাল, ডাল, আলু, সয়াবিন তৈল, পেয়াঁজ, লবন, অর্থসহ প্রদান করেছেন।
সূত্রে আরও জানা যায়, দেশে যতদিন করোনার সংকট স্বাভাবিক না হবে ততোদিন পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীদের পাশে সেনাবাহিনী আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তাদের পাশে থেকেই অসহায়দের খাদ্যের মোকাবেলার কাজ চালিয়ে যাবে।
এদিকে কাপ্তাই ২৩ বেঙ্গল ডেয়ারিং টাইগার্স কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ গাজী মিজানুল হক(পিএসসি) সাব জোনের ব্যবস্থাপনায় রাজস্থলীর দূর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলে দীর্ঘ পথ পাঁড়ি দিয়ে পাহাড়ী-বাঙ্গালী পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এতে ভুক্তভোগীরা ত্রাণ সামগ্রী পেয়ে সন্তুষ্ট ও খুশী। তারা সেনাবাহিনীর উদ্যোগকে স্বাগত ও তাদের পরিবারের জন্য দোয়া কামনা করেন।
অপরদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাঙ্গামাটি সদর, লংগদু, নানিয়ারচর ও বাঘাইছড়ি জোন কর্তৃক গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ অনাথদের মানবিক সাহায্যর অব্যাহত রেখেছেন। দেশের মহামারী করোনার সংকটাপন্ন অবস্থা শেষ না হওয়া পর্য়ন্ত মানবিক সাহায্যোর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
রাঙ্গামাটি সেনা সূত্র বলছে, পার্বত্য পশ্চাৎ এলাকায় গরীব, দুঃখীদের মাঝে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এলাকা ভিত্তিক মানবিক সাহায্যর সহযোগিতা করবে। এ দুঃসময়ে তাদের পাশে থেকেই সেনাবাহিনী কাজ করবে। যে এলাকায় অসহায় পরিবার পাওয়া যাবে সেই এলাকায় সাধ্যমতো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আশা করছি এ মহতী উদ্যোগকে সবাই সহযোগিতা করবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)