ক্রীড়া ডেস্ক :আইসিসির আর্থিক লভ্যাংশ বণ্টন নিয়ে প্রায়শই প্রশ্ন ওঠে। কেননা এতে করে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো বোর্ডই বেশি লাভবান হয়। অন্যদিকে জিম্বাবুয়েসহ ছোট সারির দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা পরবর্তী সময়ে প্রভাব ফেলে দেশটির ক্রিকেট কাঠামোতেও। এটি আরও স্পষ্ট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকে তাকালে। একসময়ের অন্যতম শক্তিধর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় যার প্রভাব পড়েছে দেশটির মাঠের ক্রিকেটেও।
সাধারণত সফরকারী দলগুলোকে আতিথেয়তা দেওয়ার দায়িত্ব স্বাগতিক বা আয়োজকদের হলেও সফরের ব্যয় বহন করতে হয় সফরকারী দলকেই। তবে জিম্বাবুয়েকে ইংল্যান্ডে আসার সব খরচ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড। ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টেস্টের আগে এ ঘোষণা দেন তিনি।
জিম্বাবুয়েকে ট্যুরিং ফি দেওয়া নিয়ে রিচার্ড গোল্ড বলেন, ‘আইসিসির রাজস্ব বণ্টন পদ্ধতির কথা বলুন কিংবা দ্বিপক্ষীয় সিরিজের রাজস্ব ভাগাভাগি করা। সত্যি বলতে— এসব যেভাবে হয়ে আসছে, তা পুরোনো হয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, আগামী বছর জিম্বাবুয়ে সফরে আসবে আমাদের এখানে। এমনিতে যেটা চলে আসছে, সফরকারী দল কোনো দেশে যাওয়ার পর তাদের আবাসন ও অন্যান্য কিছুর দায়িত্ব আয়োজক বোর্ডের থাকে। কিন্তু সফরে যাওয়ার জন্য কোনো ফি দেওয়া হয় না। আগামী বছর যখন আমরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলব, সফরে আসার জন্য ওদেরকে ফি দেব।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের জন্য কেন এমনটি করা হলো না সেটি নিয়ে গোল্ড বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই সফরের ৬ থেকে ৯ মাস আগে থেকেই তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আসছি আমি, কোন ধরনের সহায়তা আমরা করতে পারি। ব্যাপারটা অনেকভাবেই করা যায়, শুধু টেস্ট ম্যাচের চক্র দিয়েই নয়। যেমন গত ক্রিসমাসের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে আমরা বাড়তি দুটি টি-টোয়েন্টি খেলেছি (আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচির বাইরে), যাতে তাদের সহায়তা করতে পারি। সবসময় আর্থিক সহায়তাই জরুরি নয়। অন্য অনেক পথও আছে।’
ঊষার আলো-এসএ