ক্রীড়া ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশ অদলবদল হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তোপের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান ভারতে। এর পর থেকে সারা দেশের এমপি-মন্ত্রীরা লাপাত্তা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিও নিখোঁজ।
মোহাম্মদ রফিক বাংলাদেশ ক্রিকেটে ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্পিনার । ক্রিকেট থেকে অবসরের নিলেও ক্রিকেটের সঙ্গেই জড়িয়ে আছেন তিনি। দেশের ঘরোয়া লিগের পাশাপাশি কোচ হিসেবে দেখা গেছে বিপিএলেও। তবে বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন থাকাকালীন বিসিবিতে উপেক্ষিতই থেকে গেছেন মোহাম্মদ রফিক। একাধিকবার তাকে নিয়ে কাজ করার কথা বিসিবি জানালেও শেষ পর্যন্ত অধরাই থেকেছেন তিনি। যে কারণে আফসোসও রয়েছে সাবেক এ ক্রিকেটারের মনে।
ক্ষমতার পালাবদলে আজ পাপন নিখোঁজ। তাই স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তন আসতে চলেছে ক্রিকেট বোর্ডেও। আর নতুন বোর্ডে যদি রফিককে কাজ করার সুযোগ দেওয়া, তাহলে সেটি আনন্দের সঙ্গেই গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মোহাম্মদ রফিক বলেন, ‘আমরা তো ‘১৯৯০ সাল থেকে বোর্ডের সঙ্গে আছি। সেই ‘৯০ সালে যে হাহাকার ছিল, এখনো সেই হাহাকার চলছে। ‘৯০ সালে যখন বোর্ডের কিছুই ছিল না, তখনো বোর্ডের সঙ্গে ছিলাম। আর এখন যা খারাপ অবস্থা— আমি রফিক আছি, ফাহিম ভাই আছে, বুলবুল আছে, খালেদ মাসুদ পাইলট আছে। তিনি বলেন, আমাদের টাকার দরকার নেই, আমরা দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে আছি। আমরা চাই দেশের ক্রিকেটটা বেঁচে থাকুক।
তিনি আরও বলেন, যারা বোর্ডে বসবে, তারা যদি মনে করে যে আমরা যারা সাবেক খেলোয়াড় আছি, আমাদের এখন প্রয়োজন। যদি মনে করে যে, আমাদের দরকার এই সময়, আমরা দেশের হয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত আছি।’
মোহাম্মদ রফিক বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমি এসির ভেতর থাকতে চাই না, আমাকে মাঠে কাজ দেন। আমি মাঠের লোক মাঠে থাকতে চাই। আমার টাকা লাগবে না, এখন যে অবস্থা টাকা লাগবে না। যারা নতুন অবস্থায় আসবে, তাদের সঙ্গে আমরা আছি, যদি আমাদের দরকার মনে করে।
তিনি বলেন, কোনো অনুষ্ঠানে দেখা হলে বিসিবি সভাপতি বলতেন যে— হ্যাঁ রফিক আসো। তারপর আর কোনো কথা বলতেন না। তারা তো বলেই শেষ। কিন্তু আমি মোহাম্মদ রফিক সেরকম ব্যক্তি নই। আমি দুই নম্বরি পছন্দ করি না। সত্য-মিথ্যা কথা কেন বলব, আমি কেন মিথ্যা কথা বলব বলুন।’
ঊষার আলো-এসএ