ফজলুল হক মুসলিম হলের অতিথিকক্ষে তোফাজ্জল নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, এ ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিজ্ঞপ্তিটি গণমাধ্যমে পাঠান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে সংঘটিত অমানবিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দুঃখিত ও মর্মাহত। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রক্টরিয়াল টিম বিষয়টি জানার পরই ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই কমিটি দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গতকাল রাতে চোর সন্দেহে ওই হলের অতিথিকক্ষে এক ব্যক্তিকে আটকে রেখে কয়েক দফায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে একদল শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। দিবাগত রাত ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চোর সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে ফজলুল হক হলের ভেতরে ধরে আনার বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক একটি ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দেন এক শিক্ষার্থী। গতকাল মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের পিটুনিতে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ফেসবুক গ্রুপ ও নিজেদের ব্যক্তিগত প্রোফাইলে দেওয়া বিভিন্ন পোস্টে শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিচারবহির্ভূত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ ভোরে টিএসসি এলাকায় বিক্ষোভও করেছেন কিছু শিক্ষার্থী।