জানা গেছে, এনআইডি সংশোধনের আবেদন করে বছরের পর বছর ইসির অফিসে অফিসে ঘুরছেন ভুক্তভোগীরা। এদিকে এনআইডি সেবা সহজ করার লক্ষ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সচিব পর্যায়ের বৈঠকের পর এনআইডি সেবা সহজ করতে ইসি সচিব নতুন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছেন।
ইসিসূত্র জানিয়েছেন, এনআইডি সেবা সহজ করার জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ইসি সচিবালয়। এর মধ্যে মোবাইল অ্যাপস প্রস্তুত; ইসি সচিবালয়, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রতিদিন কতজনকে সেবা দেওয়া হলো তা অফিস বোর্ডে লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হারানো এনআইডির ক্ষেত্রে জিডির কপি দাখিলের নিয়ম বাদ দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব শফিউল আজিম বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা সচিবদের নির্দেশনা দিয়েছেন সেবা সহজ, দুর্নীতিমুক্ত এবং জনবান্ধব করার জন্য। আমরা সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। এনআইডি সেবা সহজ করার জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনলাইনে মিটিং করছি।
এ বিষয়ে ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম গতকাল বলেন, এনআইডি সেবা ত্বরান্বিত করতে মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। ঝুলে থাকা আবেদন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শূন্য পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সব কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
নির্বাচন কমিশন নাগরিকদের আবেদন সাত ক্যাটাগরিতে নিষ্পত্তি করে। এর মধ্যে ক ক্যাটাগরির ১৫ হাজার ১৪০, ক-১ ক্যাটাগরির ১ হাজার ২৮৪, খ ক্যাটাগরির ৭৭ হাজার ৪০৩, খন্ড১ ক্যাটাগরির ৬ হাজার ৪৮৭, গ ক্যাটাগরির ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩০৪, গ-১ ক্যাটাগরির ৮ হাজার ৮২১, ঘ ক্যাটাগরির ৮ হাজার ২২১টি আবেদন জমা পড়ে আছে। এখনো ২৪ হাজার ৯৭১টি আবেদনের ক্যাটাগরি করা হয়নি।
অন্যদিকে প্রক্রিয়াধীন আবেদনগুলোর মধ্যে সেন্ড ব্যাক টু সিটিজেন (তথ্যের ঘাটতিজনিত) ক্যাটাগরিতে ৪০ হাজার ২৩০টি, তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে এমন আবেদন ৭৩ হাজার ৭২৫টি, শুনানির অপেক্ষায় ২২ হাজার ৬৭১টি এবং অতিরিক্ত তথ্যের ঘাটতিজনিত ৩৪ হাজার ৯৫৫টি আবেদন আছে।
অর্থাৎ বর্তমানে মোট ৪ লাখ ৭০ হাজার ৯৩১টি আবেদন সংশোধনের জন্য কর্মকর্তাদের টেবিলে রয়েছে।
ঊষার আলো-এসএ