ঊষার আলো রিপোর্ট : লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় ভাই হিরনকে ফাঁসাতে হারুনুর রশিদ তার নিজের স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করেন। গ্রেফতারের পর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
ওসি কায়সার হামিদ বলেন, আসামি হারুন তার ভাই হিরনকে ফাঁসাতে হত্যাকাণ্ডটি ঘটান। তখন নিজের শরীরেও দা দিয়ে আঘাত করে ঘটনাটি ডাকাতি বলে প্রচার করেন। তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে তিনি হত্যার ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
গ্রেফতার হারুন সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ঝাউডগি গ্রামের নুর মোহাম্মদ ডাক্তার বাড়ির মৃত হানিফ মোল্লার ছেলে। তিনি পেশায় ইটভাড়ার মাঝি ছিলেন।
পুলিশ জানায়, হারুনের সঙ্গে তার ভাই হিরনের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ১৫ অক্টোবর রাতে খাওয়া-ধাওয়া শেষে হারুনের পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। ওই রাতে পৌনে ৩ টার দিকে হারুন পাশের বিয়ে বাড়ির সাজসজ্জা দেখতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রী জেসমিনকে নিয়ে বের হয়। একপর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হারুন তার স্ত্রীকে হত্যা করে। ঘটনাটি ডাকাতি বলে প্রচার করতে হারুন নিজেই তার হাতে ও ঘাঁড়ে কাটা জখম করে। পরে দা পুকুরের পানিতে পরিস্কারের পর বসতঘরে রেখে প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে। এতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে আসলে সবাইকে জানায় ৭-৮ জনের ডাকাতদল তাদেরকে কুপিয়েছে। একপর্যায়ে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। মূলত জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাই হিরন ও তার স্ত্রীকে ফাঁসাতে হারুন নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে ডাকাতি বলে ঘটনাটি প্রচার করেন। ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় হারুনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে আদালতেও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় হারুন।
ঊষার আলো-এসএ