লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে (৩৫) নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার পর সাজানো হয় ডাকাতি দলের হামলায় নিহত হয় জেসমিন আক্তার।
পুলিশ হত্যাকাণ্ডের ৪ দিন পর তদন্ত করে জানতে পারে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে স্বামী হারুনুর রশিদ তার স্ত্রীকে নিজে একাই কুপিয়ে হত্যা করেন। তার আপন ভাই হিরন ও হিরনের স্ত্রীকে ফাঁসাতে তিনি এ কাজ করেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে অভিযুক্ত হারুন অর রশিদ বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনিই তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে হত্যা করেছেন।
গত ১৬ অক্টোবর সকালে পুলিশ গৃহবধূ জেসমিন আক্তারের লাশ উদ্ধার করে সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের (৯ নম্বর ওয়ার্ড) ঝাউডগি গ্রামের নুর মোহাম্মদ ডাক্তার বাড়ি থেকে। ওই দিন রাত আড়াইটার দিকে জেসমিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ওই সময় নিহতের স্বামী হারুন বলেন, ডাকাত দল প্রথমে তাকে হত্যার উদ্দেশে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে জেসমিন ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে তাকেও ডাকাত দল কুপিয়ে জখম করে।
পরদিন সকালে নিহত জেসমিনের দেবর হিরনকে আটক করে পুলিশ। এবং ঘাতক হারুন সদর হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেয়।ঘাতক হারুন কুশাখালী ইউনিয়নের ঝাউডগি গ্রামের আনিছ মোল্লার ছেলে ও ইট ভাটার শ্রমিক।
পুলিশ কর্মকর্তা হাসান মোস্তফা স্বপন জানান, চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি হারুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে নিজের আপন ছোট ভাই হিরন ও তার বৌকে ফাঁসাতে স্ত্রী জেসমিনকে হত্যা করে হারুন।
তাদের বসতঘর থেকে একটু দূরে পুকুর পাড়ে স্ত্রী জেসমিনকে হত্যা করা হয়। হত্যায় ব্যবহার করা হয় তাদের ব্যবহৃত দেশীয় দা। হত্যার পর পুকুর থেকে দা-ধুয়ে মুছে ঘরে রাখা হয়।
কিন্তু ওই মুহূর্তে প্রতিবেশীদের জানিয়েছেন ডাকাত তাদের স্বামী-স্ত্রীর ওপর হামলা চালিয়েছে। এরপর দাবি করছে তার ভাই হিরন জমি সংক্রান্ত বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
পুলিশ যখন নিবিড়ভাবে তদন্ত করে তখন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে শনাক্ত হয় ঘাতক স্বামী হারুন অর রশিদ। গতকাল তার জবানবন্দি নেওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।