টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) পাখা কেটে দেয়ার কারণে এই খাতে অনেক অনাচার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী। আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
দেশের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের ভবিষ্যত শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান আরও অভিযোগ করেন, ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন আইনের কারণে প্রহসনের জায়গা হয়েছে বিটিআরসি। এসময় ইন্টারনেট সেবা মৌলিক অধিকার হয়ে যাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এমদাদ উল বারী বলেন, ব্যবসা টেকসই না হলে সেবাও টেকসই হবে না। অধিকার নিশ্চিত করতে টেকসই ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করারও আশ্বাস দেন তিনি।
বিটিআরসি বলেছে, ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য কাজ করছে তারা। গত বছর থেকে গ্রাহক বিভ্রান্তি কমাতে এবং ডাটা কারসাজি ঠেকাতে বিটিআরসি অপারেটরদের প্যাকেজ সংখ্যা হ্রাস করেছিল। এখন বিটিআরসি প্যাকেজের মেয়াদ ও সংখ্যার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
সংস্থাটির পরিচালক (এসএস) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম রেজাউর রহমান বলেছেন, গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে তারাই তাদের পরিকল্পনাটা করুক। গুনগত সেবা ও দামের মাধ্যমে গ্রাহকরাও উপকৃত হবে।
আলোচনায় ভবিষ্যতে টেলিযোগাযোগ সেবার ক্ষেত্রে লাইসেন্স দেয়ার সময় সক্ষমতা যাচাই করা, খরচ কমানে, নীতি পরিবর্তনের পাশাপাশি আর কখনোই ইন্টারনেট শাটডাউন না করার ওপর জোর দেন খাত সংশ্লিষ্টরা।