UsharAlo logo
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো সেই সিভিল সার্জনকে

ঊষার আলো ডেস্ক
নভেম্বর ৪, ২০২৪ ৭:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সরকারি একটি টিকাদান কর্মসূচিতে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়া বাগেরহাটের সেই সিভিল সার্জন ডা. জালাল-উদ্দিন আহমেদকে এবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তার অবসরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলির আদেশাধীন বাগেরহাট জেলার সিভিল সার্জন ডা. জালাল-উদ্দিন আহমেদের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং যেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন বলে বিবেচনা করে, সেহেতু সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।

এতে আরও বলা হয়, তিনি বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে, গতকাল রোববার তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে বদলি করা হয়। মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শোভন রাংসা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জালাল উদ্দীন আহমেদকে গতকাল ওএসডি করা হয়।

এতে বলা হয়েছিল, তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর এক দিন পরেই (সোমবার) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এ এম আকমল হোসেন আজাদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরের আদেশ জারি করেন।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদের (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলির আদেশাধীন) চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৪ অক্টোবর সকাল ১১টায় বাগেরহাট সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে জরায়ুমুখে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) প্রতিরোধী টিকা প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসানের উপস্থিতিতে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. মো. জালাল উদ্দিন আহম্মেদ।

ওই দিন রাতেই বাগেরহাট জেলা বিএনপি ও যুবদলের নেতৃত্বে সিভিল সার্জনের অপসারণের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।