UsharAlo logo
শনিবার, ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন মানেই গণতন্ত্র, উন্নয়ন’

koushikkln
মে ১৭, ২০২১ ১০:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা, দেশের অভ্যন্তরীণ হাজারো প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এখন বিশ্বের বুকে এক নতুন বাংলাদেশের আওয়াজ পৌঁছে দিয়েছেন। তার হাত ধরে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে মহিমান্বিত হয়েছে বাঙালি জাতি, ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র ইমেজ থেকে বাংলাদেশকে মুক্তি দিয়েছেন। স্বীয় সাহস, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বের গুণে বিশ্বের বুকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে এখন তার পরিচিতি। কিন্তু এই পথপরিক্রমার প্রতিটি দিন ছিল একসময় দুঃস্বপ্নের মতো। স্বজন হারানোর বেদনায় প্রতিনিয়তই অশ্রুজলে ভিজেছে তার মায়াবী শাড়ির আঁচল। নির্বাসিত জীবনের প্রতিটি দিন কেটেছে আততায়ীর হাতে প্রাণ হারানোর আশঙ্কা নিয়ে। তবুও দমে যাননি তিনি। সব ষড়যন্ত্র ও প্রুতিকূলতা মোকাবিলা করে, নিয়মিত বুলেট-বোমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, আজকে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন এক অদম্য বাংলাদেশকে। মানবিকতার প্রয়োজনে নিজেও হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরোধ্য। পিতার প্রতিষ্ঠা করা দেশকে গড়ার জন্য জন্য প্রাণপণে কাজ করছিলেন শেখ হাসিনা, মাঝপথে বারবার বাধা এসেছে। এমনকি তিনি যখন দেশকে দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত করতে তীব্র  প্রতিজ্ঞ হলেন, তখন তাকে দেশ থেকে সরানোর অপচেষ্টা করা হলো। কিন্তু নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে, দেশের মানুষের কাছে থেকে গেলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন মানেই গণতন্ত্র, উন্নয়ন, দেশ ও জাতির নিরাপত্তা। শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলো বলেই তালপট্টি, তিনবিঘা করিডোর, পানিচুক্তি, পার্বত্য শান্তি চুক্তি, সমুদ্র সীমা অর্জন, বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মান, পদ্মা সেতু নির্মান করে দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগণ এখন মাথা উঁচু করে বিশ্বকাতারে দাড়াতে পারে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের সময় একাধিকবার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায়, তাকে দেশ থেকে সরানোর অপচেষ্টা করে উগ্রবাদী গোষ্ঠী ও তাদের আন্তর্জাতিক চক্র। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনকালে দেশকে যখন বিরাজনীতিকরণের ষড়যন্ত্র চলছিল, ঠিক সেই পরিস্থিতিতে নিরাপদে বিদেশে না থেকে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশরতœ শেখ হাসিনার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত কোটি কোটি জনতাকে আন্দোলিত করে তোলে। এর আগেও, ১৯৮১ সালের ১৭ মে, বিধ্বস্ত বাংলাদেশের বুকে তুমুল প্রাণের গণজোয়ার নিয়ে ফিরে এসেছিলেন তিনি। শেখ হাসিনার প্রথম প্রত্যাবর্তন ছিল স্বাধীনতাযুদ্ধে পরাজিত অপশক্তির হাত থেকে বিজয়ী বাঙালি জাতির স্বকীয় রক্ষার জন্য, আর দ্বিতীয় প্রত্যাবর্তনটি বাংলাদেশকে জঙ্গিগোষ্ঠীর কড়াল গ্রাস থেকে মুক্ত করে স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তাই বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতিটি প্রত্যাাবর্তন বিশ্বের বুকে নন্দিত বাংলাদেশ গড়ার ইতিহাসের একেকটি অনবদ্য মাইলফলক।
সোমবার (১৭ মে) বিকাল ৫টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী গনতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. চিশতী সোহরাব হোসেন শিকদার, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাশার, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, অধ্যা. রুনু ইকবাল, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম বন্দ, কাউন্সিলর মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, এ্যাড. নিমাই চন্দ্র রায়, এ্যাড. আব্দুল লতিফ, আলাউদ্দিন আল আজাদ মিলন, এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, মো. মোতালেব হোসেন, এমএ নাসিম, মোস্তাফা কামাল, হাবিবুর রহমান দুলাল, নাছরিন আক্তার, জিয়াউল ইসলাম মন্টু, শেখ জাহিদ হোসেন, শেখ আবিদ উল্øাহ, বাবুল সরদার বাদল, আব্দুল হাই পলাশ, জাকির হাওলাদার, এ্যাড. ফারুক হোসেন, এ্যাড. শামীম মোশারফ, মো. আজম খান, মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, ফয়জুল ইসলাম টিটো, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, জিয়াউর রহমান, মো. সিহাব উদ্দিন, মো. আকবর হোসেন, তোতা মিয়া ব্যাপারী, ইলিয়াছ হোসেন লাবু, আলমগীর মল্লিক, রুমান হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, মেহজাবীন খান, মামনুল হক, শেখ আব্দুল কাদের, নওশের মল্লিক, সোহান হাসান শাওন, মাহমুদুর রহমান রাজেস, ওমর কামালসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।

অপরদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ পত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী খুলনা জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ১৭ মে সন্ধ্যা ৭ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশিদ।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী।

নেতৃবৃন্দ বলেন দেশি বিদেশি কুচক্রী মহল ও ষড়যন্ত্রকারীদের দ্বারা বঙ্গবন্ধুসহ স্বপরিবার শহিদ হবার পর, জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ পত্যাবর্তন হয়েছিল বলেই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত হয়েছে এবং বাংলাদেশ রক্ষা পেয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে।
সেই কুচক্রী মহল জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আজও অব্যাহত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
নেতাকর্মীদের ঐক্য বদ্ধ থেকে সকল অপশক্তিকে মোকাবিলা করা হবে বলে দৃড় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

আলোচনায় অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম, বিএমএ ছালাম, মোস্তফা কামাল পাশা খোকন, এ্যাড. অধ্যাপক নিমাই চন্দ্র রায়, রফিকুর রহমান রিপন, মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তারিক হাসান মিন্টু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাহ আলম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. রকিকুল ইসলাম লাবু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী শামীম আহসান, শ্রম সম্পাদক মোজাফফর মোল্যা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোখলেসুর রহমান বাবলু, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খায়রুল আলম , উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েদুজ্জামান সম্রাট, নির্বাহী কমিটির সদস্য যথাক্রমে জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, শিউলি সরোয়ার, ফারজানা নিশি, অমিয় অধিকারী, মোঃ আজগর বিশ্বাস তারা, মোঃ জামিল খান, রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাশেম ডাবলু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান বাবুল, , জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা চম্পা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ জেলার যুগ্ম আহবায়ক মোতালেব হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মোঃ আবু হানিফ, খান সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ নেতা সরদার জাকির হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ পারভেজ হাওলাদার, এ্যাড. প্রতাপ কুমার, দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পি, মোঃ হারুনুর রশিদ, মাফুজুর রহমান সোহাগ, মোঃ আজিম মিয়া, শেখ রেজাউল করিম রেজা, দিপ পান্ডে, সুরভি লাইজু, আনসার আলী বাদল, রবিউল ইসলাম রবি, তানভির রাসেল, ইসমাইল হোসেন ইমন, রাজু, খাইরুল বাশার, হৃদয়, সানজু প্রমুখ।