UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাশিয়াকে ‘সন্তুষ্ট’ রেখেই ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে চান ট্রাম্প

usharalodesk
নভেম্বর ১০, ২০২৪ ১২:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক:এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করে এসেছেন, তিনি হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প থাকলে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউক্রেনে রক্তপাত হতো না। আগামী বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্পের ইউক্রেন নীতি কি হবে, তা নিয়ে জাের আলোচনা চলছে।

ট্রাম্পের উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যদি আলোচনার টেবিলে আসেন এবং বলেন, ক্রিমিয়া আমাদের থাকলেই কেবল আমরা শান্তি আলোচনায় থাকতে পারি, তবে তিনি আমাদের এটিই বোঝাবেন যে, তিনি আসলে আগ্রহী নন।’

তিনি বলেন, ‘ক্রিমিয়া ইতোমধ্যেই হাতছাড়া হয়ে গেছে।’

বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের উইকএন্ড প্রোগ্রামে ব্রায়ান বলেন, ‘জেলেনস্কি যখন বলেন, আমরা এই যুদ্ধ শুধু তখনই বন্ধ করব, ক্রিমিয়া ফিরে পেলেই শান্তি আসবে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে আমরা বলতে চাই: ক্রিমিয়া দখলে হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি ক্রিমিয়াকে ফিরিয়ে আনাই আপনার অগ্রাধিকার হয় এবং আপনি চান আমেরিকান সেনারা ক্রিমিয়া ফিরিয়ে আনার জন্য লড়াই করুক, তবে আপনার পথ আপনি দেখুন।’

মনে করা হচ্ছে এমন একটি বিবৃতি, মার্কিন পররাষ্ট্র নীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত।  এই উপদেষ্টা যুদ্ধ বন্ধের জন্য একটি কূটনৈতিক রেজোলিউশনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। এছাড়া তার পরামর্শ, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত এবং সহিংসতা বন্ধ করা ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার উপর অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

যদিও বাইডেন প্রশাসন এবং ন্যাটোর অনেকেই ক্রিমিয়া এবং ডনবাসের মতো অধিকৃত অঞ্চলগুলোকে ফিরিয়ে আনা সহ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে বহাল রাখতে হবে বলে জোর দিয়ে এসেছেন। কিন্তু ট্রাম্পের উপদেষ্টারা আরও বাস্তববাদী অবস্থানের পক্ষে কথা বলছেন।

‘শান্তি আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত,’ উপদেষ্টা বলেছিলেন যে যুদ্ধবিরতি আনতে আঞ্চলিক ছাড় বা সমঝোতার প্রয়োজন হতে পারে। এর মাধ্যমে এটা অনুমেয়, রাশিয়ার দখলে ইউক্রেনের ভূখণ্ড ফেরাতে তৎপর হবে না ট্রাম্প প্রশাসন।

অবস্থানটি ট্রাম্পের বৃহত্তর ‘আমেরিকা সবার আগে’ বৈদেশিক নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা প্রায়শই বিদেশী সংঘাতে মার্কিন জড়িততা হ্রাস করা এবং প্রতিপক্ষের সাথে সরাসরি আলোচনার উপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানায়।

ইউক্রেন যুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যাহার বা সম্পৃক্ততা হ্রাস রাশিয়াকে উত্সাহিত করতে পারে। বলা যায়, যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াকে সন্তুষ্ট রেখেই প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইবে ট্রাম্পের নেতৃত্বে নতুন মার্কিন প্রশাসন।

ঊষার আলো-এসএ