জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে সঙ্গে নিয়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এমসয় এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১১.৩০ মিনিটে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) আন্দোলনে আহত ছাত্র জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। তারা হাসপাতালের ডাক্তার এবং ভর্তিকৃত রোগীদের সাথে কথা বলেন।
উল্লেখ্য ৫ নভেম্বর থেকে নিটোরে যুক্তরাজ্যের দুইজন ডাক্তার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র জনতার চিকিৎসা করছেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় হাসপাতালের ৪ তলায় প্রত্যেকটি রোগীর খোঁজ খবর নেন এবং তাদের সাথে বিস্তারিত কথা বলেন।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) পরিচালক নিটোরের পরিচালক ডা. কাজী শামীম উজজামান জানান, যুক্তরাজ্য থেকে আসা দুইজনের চিকিৎসক টিম হাসপাতালে আহত ৮৫ জন রোগীকে দেখেছেন।
যুক্তরাজ্যের চিকিৎসক টিম আজ পর্যন্ত ১৬ জনের সার্জারি করেছেন এবং আগামীকাল আরো দুইজনের সার্জারি করবেন। তারা আমাদের চিকিৎসা প্রটোকল ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট।
হাসপাতালের ৪র্থ তলায় পরিদর্শন শেষে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার অনুরোধের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সেখানেই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ভিড়ের মধ্যে গায়ে হাত দেয়ার অভিযোগ করে একদল মানুষ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, হাইকমিশনার অফিসসহ সকলে তাদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা কর্ণপাত করেন নি। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা ছাড়াই চলে আসতে বাধ্য হন।
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।