ঊষার আলো প্রতিবেদক : প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়ে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব ড. মো: শিব্বির আহমেদ ওসমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।
রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই মামলায় রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৩৮৯ ও ৪১১ ধারায় এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একান্ত সচিবের দপ্তরের দাপ্তরিক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র- শরীরের বিভিন্নস্থানে লুকান এবং মোবাইলে ছবি তোলেন। এসময় মো: মিজানুর রহমান খান নামে এক দায়িত্বরত পুলিশ তাকে বাঁধা প্রদান করলে তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। পরবর্তীতে অফিসের অনেকের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম তল্লাশি করে তার কাছ থেক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টসের ছবি সম্বলিত মোবাইল উদ্ধার করেন। যাতে প্রতীয়মান হয় যে, ডকুমেন্টসগুলো তিনি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের ভ্যাকসিন ক্রয়/সংগ্রহ সংক্রান্ত নেগোসিয়েশন চলমান রয়েছে এবং খসড়া সমঝোতা স্মারক ও নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট প্রণয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সমঝোতা স্মারক নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মাঝে প্রতিনিয়ত পত্র এবং ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে। উক্ত নারী সেসব নতিপত্রের ছবি তুলছিলেন।
প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে আটকে রেখে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় সচিবালয়ে আটকে রেখে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় রোজিনা ইসলামকে। রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। তাঁকে সেখানে একটি কে আটকে রাখা হয় এবং তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রোজিনা ইসলামকে আটকে রাখার খবর পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকেরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই ভবনে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে রোজিনাকে আটকে রাখার কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কিছুই জানাননি। পরে বিকেলে সাংবাদিকেরা সচিবালয়ের বাইরে জড়ো হয়ে রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও আটকে রাখার প্রতিবাদ করেন। এ ঘটনায় কর্মরত সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা কর্মরত অবস্থায় এ ধরণেল হেনস্তার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।