UsharAlo logo
সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈষম্যবিরোধ আন্দোলনে ‘নিহত’ রিপন ফকিরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন

usharalodesk
নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলনে ‘গুলিতে নিহত’ কসাই রিপন ফকিরের লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফের উপস্থিতিতে মৃত্যুর ১১২ দিন পর রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার বানদীঘি ফকিরপাড়ার কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়।

ডিবি ওসি মোস্তাফিজ হাসান জানান, ময়নাতদন্ত হলেই তিনি কীভাবে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার তার লাশ আবার দাফন করা হবে।

আদালত সূত্র ও পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট দুপুরে শহরের ২নং রেলগুমতি এলাকায় ‘গুলিবিদ্ধ হয়ে’ ‘নিহত হন’ কসাই রিপন ফকির। তিনি বগুড়া সদর উপজেলার বানদীঘি ফকিরপাড়ার বাসিন্দা। গোদারপাড়া এলাকায় গোশতের ব্যবসা করতেন। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়।

এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী মাবিয়া বেগম গত ১৭ সেপ্টেম্বর সদর থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, ওবায়দুল কাদের, দৈনিক অবজারভারের বগুড়া জেলা প্রতিনিধি এএইচএম আখতারুজ্জামানসহ ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

মামলার পর বাদী মাবিয়া বেগম সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামী আন্দোলনে গিয়ে গুলিতে নয়; হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দুজন অজ্ঞাত ব্যক্তি সহযোগিতার নামে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছেন। তিনি এ মামলা সম্পর্কে কিছু জানেন না। হত্যা মামলাটি পরে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বগুড়ার কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন জানান, রিপন ফকির হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফুর রহমান নিহতের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণে মরদেহ উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি গত ২৮ অক্টোবর বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা গত ৩১ অক্টোবর আবেদনটি মঞ্জুর করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন।

এছাড়া ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ যথাযথ মর্যাদায় পুনরায় দাফন করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফের উপস্থিতিতে মৃত্যুর ১১২ দিন পর রবিবার দুপুরে সদরের বানদীঘি ফকিরপাড়ার কবরস্থান থেকে রিপন ফকিরের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেট জানান, আদালতের নির্দেশে মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ মর্যাদায় আবারও দাফন করা হবে।

এ সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই আরিফুল ইসলাম ও প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ঊষার আলো-এসএ