UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণ-পর্নোগ্রাফি মামলায় স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

usharalodesk
ডিসেম্বর ১২, ২০২৪ ৬:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট :  কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার শিমুলকান্দি গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে তাদের নামে বুধবার রাতে মামলা করেন ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলা শিমুলকান্দি গ্রামের আতাউর রহমান ওরফে আফতাব মিয়ার ছেলে হুমায়ূন আহমেদ (৪১) ও তার স্ত্রী মৌসুমী বেগম (৩০)।বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার দুইজনকে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়। ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ূন বিবাহিত ও তাদের তিনটি সন্তান আছে। গত তিন বছর আগে তিনি দুবাই যান। সেখানে থাকার পর গত ৬ মাস আগে ফেসবুকে একটি মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। মেয়েটির বাড়ি ভৈরব শহরের পঞ্চবটি এলাকায়। পরিচয়ের সূত্র ধরে ছয় মাস যাবত মেয়েটির সঙ্গে ফোনে কথাবার্তাসহ ফেসবুকে  চ্যাট করতেন এবং অশ্লীল ছবি দুজনে আদান প্রদান করতেন। পরিচয়ের সময় হুমায়ূন নিজেকে অবিবাহিত বলে পরিচিত দিতেন মেয়েটির কাছে। এরই মধ্য হুমায়ূন গত আড়াই মাস আগে দেশে এসে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করে তাকে টাকা-পয়সা ও উপহার দেয়।

এরপর মেয়েটিকে ফুসলিয়ে গত ৩ অক্টোবর ও ৫ অক্টোবর ভৈরব বাজারের একটি বাসায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে হুমায়ূন জানান- তিনি বিবাহিত, তাই বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। এ ঘটনা মেয়েটির মা নীলা আক্তার জানার পর হুমায়ূনকে বিষয়টি মিটমাট করে কাউকে না জানাতে অনুরোধ করেছিল; কিন্তু হুমায়ূন মেয়েটিকে আবারো ধর্ষণ করতে তাকে চাপ সৃষ্টি ও হুমকি দিয়ে বলে তার কথায় রাজি না হলে ফেসবুকে মেয়ের অশ্লীল ছবি ছেড়ে দেবে। এমনকি তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগে বলা হয়।

এদিকে স্বামীর এসব ঘটনা গোপনে তার স্ত্রী মৌসুমী বেগম জানতে পেরে মেয়েটিকে ফোনে গালাগালিসহ হুমকি প্রদান করেন। মৌসুমী  তার স্বামীর ফেসবুক থেকে মেয়েটির অশ্লীল ছবি সংগ্রহ করে মেয়েটির আত্মীয়-স্বজনসহ ফেসবুকে প্রচার করে স্ত্রী। পরে ঘটনা দেখে মেয়েটি তার মাকে নিয়ে বুধবার রাতে থানায় এসে পুলিশকে বিস্তারিত ঘটনা জানান। এ সময় থানার ওসিকে মেয়েটি বলে ঘটনায় মামলা না নিলে সে আত্মহত্যা করবে। তারপর রাত ৯টার দিকে থানায় মামলা নেয়। পুলিশ রাতেই স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে ভিকটিমের মা ও মামলার বাদী বলেন, হুমায়ূন আমার মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে বিবাহিত হয়েও আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে, অশ্লীল ছবি তুলেছে। এ ছবি তার স্ত্রী ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে আমার মেয়ের মানসম্মান নষ্ট করেছে। আমি বিচার পেতে থানায় মামলা করেছি।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহিন মিয়া জানান, ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বুধবার রাতে নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন। মামলার পর রাতেই স্বামী ও স্ত্রীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠানো হয়। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

ঊষার আলো-এসএ