ঊষার আলো রিপোর্ট : সারা দেশে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঠান্ডায় কষ্ট পাছে দরিদ্র মানুষ। এ অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শুক্রবার ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আগলা, চুড়াইন, গালিমপুর, বাহ্রা ও বক্সনগর ইউনিয়নে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করেন যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম।
দুপুর ১২টায় বক্সনগর ইউনিয়নের বর্ধনপাড়া মাঠে কম্বল বিতরণকালে সালমা ইসলাম বলেন, যে কোনো দুর্যোগ ও উৎসবে দোহার-নবাবগঞ্জসহ এ অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়ায় আমাদের পরিবার। আগামী দিনেও দাঁড়াব ইনশাআল্লাহ। এছাড়া এ অঞ্চলের রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, নদীভাঙন রোধসহ নানামুখী উন্নয়নে আমরা সাধ্যমতো কাজ করেছি। আগামী দিনেও ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
সালমা ইসলাম বিত্তবানদের উদ্দেশে বলেন, এ সমাজে অসংখ্য দরিদ্র-অসহায় মানুষ বাস করেন। তাদের বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াতে হবে। তবেই তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হবে। দেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, আপনার সন্তানকে শিক্ষিত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। সম্ভব হলে তাদের হাতেকলমে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাহলে আপনার সন্তান আগামী দিনে রাষ্ট্রের সুনাগরিক হিসাবে এবং দেশের সম্পদ হিসাবে গড়ে উঠবে। তখন সে দেশের উন্নয়নে অংশ নেবে। তবেই সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও হতাশামুক্ত একটি নিরাপদ দেশ জাতি উপহার পাবে। ঘরে বসে না থেকে নারীদের পশুপালন, সেলাই প্রশিক্ষণ ও সবজি উৎপাদনে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই দেখবেন সংসার ও সমাজ থেকে অভাব-অনটন দূর হয়ে যাবে।
সালমা ইসলাম বলেন, আমার জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে মানুষ ও দেশের উন্নয়নে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা। আপনাদের প্রিয় মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সব সময় আপনাদের কথা ভাবতেন এবং মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করেছেন। আসুন, আমরা সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করি।
আগলা ইউনিয়নের ফরিদা বেগম (৮০) নামের এক বৃদ্ধা কম্বল হাতে পেয়ে খুশি হয়ে বলেন, সালমা ইসলাম সবসময়ই আমাদের কথা মনে রাখেন। কম্বলটা পেয়ে খুব ভালো হলো। আমার খুব ভালো লাগছে। মুনছের আলী (৬০) নামে আরেকজনও কম্বল পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
ঊষার আলো-এসএ