ক্রীড়া ডেস্ক :ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ২৭ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় করে নিল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৩ বলে ৩ ছক্কা আর ১ চারে ২৭ রান করেছিলেন শামীম পাটোয়ারী। মূলত তার ক্যামিওর সুবাদে স্কোরবোর্ডে ১৪৭ রান যোগ করে বাংলাদেশ। আর তাতে ৭ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ দল।
এবার দ্বিতীয় ম্যাচেও দলের ত্রাতা শামীম। ১২৯ রানের মামুলি পুঁজির ম্যাচে শামীম আজ খেলেছেন ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। দাপুটে ব্যাটিংয়ে জিতে নিয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও।
ম্যাচ সেরা হওয়া শামীম পুরষ্কার বিতরণী মঞ্ঝে বলেন, ‘আমি খুব খুশি। অনেকদিন পর জাতীয় দলে ফিরেছি। আমি খুবই খুশি। দলে আমার ভূমিকা হচ্ছে ফিনিশার হিসেবে, বল মারতে হবে। গত কয়েক মাস আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। ’
১২৯ রানের এত কম পুঁজি নিয়েও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ জিতবে বাংলাদেশ, তা হয়তো ভক্তদের অনেকেই ভাবেননি। তবে তাসকিন আহমেদ, শেখ মেহেদী, হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে ৯ বল বাকি থাকতে ১০২ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ম্যাচ শেষ পুরষ্কার বিতরণী মঞ্চে অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘আমি খুব খুশি। শুধু আমি না, পুরো বাংলাদেশের মানুষই খুশি। আমরা এমন জয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমি যখন প্রথম বল খেলি, খুব কঠিন ছিল ব্যাট করা। শামীমকে ধন্যবাদ, সে খুব ভালো ব্যাট করেছে। ’
কম রানে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখা, বোলিং পরিবর্তন, ব্যাটারদের দুর্বলতা বের করে পরিকল্পনা, সবকিছুই দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিয়েছেল লিটন দাস। তবে তার কণ্ঠে বোলারদের প্রশংসা। লিটন বলেছেন, যারাই বোলিংয়ে এসেছে উইকেট তুলে নিয়েছে।
লিটন আরো বলেন, ‘বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। যখন আমরা উইকেট নিয়েছি, যেই বোলিংয়ে এসেছে উইকেট এনে দিয়েছে। এটা আসলে দলীয় প্রচেষ্টার ব্যাপার ছিল। আমরা একটা ভালো ফ্লোতে ছিলাম ওই মুহূর্তে। আমাদের এসে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে আবারও।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ প্রথমবার সিরিজ জিতেছিল ২০১৮ সালে। এবার ৬ বছর পর ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজ জয় করল বাংলাদেশ।
ঊষার আলো-এসএ