সুদানের রাজধানী খার্তুমের উপকণ্ঠে সামরিক বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার বৃহত্তর খার্তুমের ওমদুরমানে সেনাবাহিনীর বৃহত্তম সামরিক কেন্দ্র ওয়াদি সেইদনা বিমান ঘাঁটির কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এরপর প্রাথমিক তথ্যে ১৯ জনের মৃত্যর কথা জানানো হয়।
তবে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সরকার জানিয়েছে, এ দুর্ঘটনায় ৪৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এতে সামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও বেসামরিক মানুষ ছিলেন।
৪৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, চূড়ান্ত গণনা শেষে, নিহতের সংখ্যা ৪৬ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
একটি সামরিক সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, আন্তোনভ বিমানটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানটি যে এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানকার বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে।
উত্তর ওমদুরমানের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। যার ফলে আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিমানটি উত্তর সুদান থেকে দক্ষিণ দিকে উড়ে যাওয়ার সময় ঘাঁটির কাছে বিধ্বস্ত হয়।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের (আরএসএফ) বিরুদ্ধে লড়াই করছে সুদানের সেনাবাহিনী। দুই বাহিনীর এই লড়াইয়ে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
কয়েকদিন আগে আরএসএফ সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত করার দাবি করে। এরপরই সেখানে আরেকটি সামরিক পরিবহণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটল।
ঊষার আলো-এসএ