যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলে কটাক্ষ করেছেন। ফক্স নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে ইউক্রেন ৩৫০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা পেলেও জেলেনস্কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি।
রোববার ‘সানডে মর্নিং ফিউচারস’-এ মারিয়া বার্তিরোমোর সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প বলেন, জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র থেকে টাকা নিয়েছেন যেন ক্যান্ডি নেওয়া হচ্ছে শিশুর কাছ থেকে। এটি খুব সহজ ছিল, এবং তিনি একই মনোভাব দেখিয়েছেন।
সাক্ষাৎকারটি এমন সময়ে এলো যখন গত ২৮ ফেব্রুয়ারির ওভাল অফিস বৈঠকের পর মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে জেলেনস্কি ক্ষমা চাইলেও উত্তেজনা কমেনি।
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে তিনিই সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি রাশিয়ার গ্যাস পাইপলাইন বন্ধ করেছি, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি, জ্যাভেলিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছি। কিন্তু আমি পুতিনের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক রাখতাম… আমেরিকার কোনো প্রেসিডেন্টই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমার চেয়ে কঠোর ছিল না।
ট্রাম্প দাবি করেন, যদি ২০২২ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকতেন, তাহলে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারত না। তিনি আরও বলেন, যদি আমি হোয়াইট হাউসে থাকতাম, তাহলে হামাস ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালাত না।
এদিকে, এই সাক্ষাৎকারের একদিন আগে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক সতর্ক করে বলেন, যদি তিনি তার স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেন, তবে কিয়েভের সামনের সব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। স্টারলিংক ইউক্রেনের সামরিক যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের মধ্যকার খনিজ সম্পদ চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, তিনি মনে করেন চুক্তিটি এখনো এগিয়ে যাবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
ঊষার আলো-এসএ