বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিল করেছে ভারত। ২০২০ সালের ২৯ জুন হওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট–সংক্রান্ত আদেশটি বাতিল করার পর এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, ভারতকে দেওয়া ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করবে কিনা বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনকে।
ট্রানজিট চুক্তির অধীনে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারত তার সাতটি রাজ্যে সহজে পণ্য পরিবহণ করে থাকে। অন্যদিকে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল ও ভূটানে পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। তবে এখন ভারত এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি উঠেছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাল্টা ট্রান্সশিপমেন্ট বা ট্রানজিট বাতিল করা যায় কিনা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সেটা আমার বিষয় না। আমার বিষয় হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি।
ভারতকে কোনো চিঠি দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এই মুহূর্তে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছি না।’
তবে ভারতের এই ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশের তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করেছে ভারত। তবে এতে বাংলাদেশের সমস্যা হবে না। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংকট কাটাতে চেষ্টা করা হবে। বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়ানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকালই (বুধবার) বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। সেখানে ক্রেতারাও উপস্থিত ছিলেন। আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংকট কাটাতে চেষ্টা করব। নিজস্ব সক্ষমতায় প্রতিযোগিতায় যেন কোনো ঘাটতি না হয় সেটা নিয়ে কাজ করছি। বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে কাজ করছি যোগাযোগের ব্যাপারেও যাতে কোনো ঘাটতি না হয়।’
কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু আছে অবকাঠামোগত বিষয়, কিছু আছে খরচ বৃদ্ধি, এসব নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, সমস্যা কাটিয়ে উঠব।’