আগের ম্যাচে ২৪৫ রান করেও জিততে পারেনি পাঞ্জাব কিংস। অথচ পরের ম্যাচে ১১১ রানের পুঁজি নিয়েও ১৬ রানে জিতে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে।
মাইক্রোফোন হাতে টিভি ক্যামেরার সামনে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি এমন ম্যাচ জিতে যেন উত্তেজনা সইতে পারছিলেন না। তিনি বলেন, হৃৎস্পন্দন এখনও অনেক বেশি, সম্ভবত দুইশর ওপরে। এই পঞ্চাশের বেশি বয়সে এই ধরনের ম্যাচ আমার খুব বেশি প্রয়োজন নেই।
অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ী এই তারকা আরও বলেন, খেলাটি কতটা মজার! তিন দিন আগে ২৪৫ রান করেও আমরা জিততে পারিনি, আজ ১১১ রান নিয়েও ১৬ রানে জিতে গেলাম।
পন্টিং বলেন, সত্যি বলতে, মাঝবিররিতে ছেলেদেরকে বলেছিলাম, এই ধরনের ছোট রান তাড়া কখনও কখনও সবচেয়ে কঠিন কাজ হয়ে ওঠে। উইকেট খুব সহজ ছিল না। ম্যাচজুড়েই দেখেছেন, বল একটু থেমে আসছিল।
এই ধরনের জয় সবচেয়ে মধুর অনুভূতিগুলোর একটি। বলেছিলাম, যদি আমরা জিততে পারি, সম্ভবত সবার জীবনের সবচেয়ে সেরা জয়গুলোর মধ্যে থাকবে। সেটিই হয়েছে। আইপিএলে অনেক ম্যাচে কোচিং করিয়েছি আমি। তবে এটাই আমার সবচেয়ে সেরা জয়।
১১২ রান তাড়ায় এক পর্যায়ে কলকাতার রান ছিল ২ উইকেটে ৬২। এরপর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ইউজভেন্দ্রা চেহেল। আজিঙ্কা রাহানেকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙার পর দ্রুত আরও তিনটি উইকেট নেন অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার।
১৮ কোটি রুপিতে এবার তাকে দলে নিয়েছে পাঞ্জাব, আইপিএলে যা স্পিনারদের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের রেকর্ড। অথচ মৌসুমের প্রথম পাঁচ ম্যাচে তার শিকার ছিল স্রেফ দুই উইকেট। আগের ম্যাচে চার ওভারে রান গুনেছিলেন ৫৬। অবশেষে ছন্দ পেয়ে চার উইকেট নিয়ে দলকে জেতালেন আইপিএল ইতিহাসের সফলতম বোলার।
ম্যাচের পর পন্টিং জানালেন, চেহেল আজকে কতই না ভালো ছিল! কী দারুণ এক স্পেল সে উপহার দিল! এই সপ্তাহে আমরা তার ওপরই ছেড়ে দিয়েছিলাম। গত ম্যাচে কাঁধে চোট পাওয়ার পর এই ম্যাচের আগে তার ফিটনেস পরীক্ষা হয়েছিল।
আইপিএল ইতিহাসে ২০০ উইকেট শিকারি একমাত্র বোলারের শিকার এখন ২১১টি। ১৯২ উইকেট নিয়ে দুইয়ে আরেক লেগ স্পিনার পিয়ুশ চাওলা। ১৮৭ উইকেট সুনিল নারাইনের।
ঊষার আলো-এসএ