UsharAlo logo
বুধবার, ১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী

ঊষার আলো ডেস্ক
মে ১৪, ২০২৫ ৪:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে ভারতের অপারেশন সিঁদুরের অন্যতম মুখ ছিলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। কিন্তু মুসলিম হওয়ায় তাকে ‘জঙ্গিদের বোন’ (অর্থাৎ পাকিস্তানের বোন) বলে বিতর্ক তৈরি করেছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিজয় শাহ। তার এই মন্তব্যের জন্য বিজেপির সমালোচনা করছে তৃণমূল ও কংগ্রেস।

সোমবার ইন্দোরে এক জনসভায় ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেন।

কংগ্রেস এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। তাতে বিজয় শাহ বলছেন, ‘সিঁদুর মুছে আমাদের বোন-মেয়েদের অসম্মান করেছে জঙ্গিরা। আমরা পালটা জবাব দেওয়ার জন্য তাদের বোনকেই পাঠিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পেহেলগামে জঙ্গিরা ধর্ম জানতে জামাকাপড় খুলিয়ে পরীক্ষা করেছে। তারপর গুলি করে মেরেছে। মোদি নিজে তো সেকাজ করতে পারবেন না। তাই জঙ্গিদের সম্প্রদায়েরই বোনকে পাঠিয়েছেন শাস্তি দেওয়ার জন্য।’

বিজেপি নেতার এই মন্তব্যের সমালোচনা করে অবিলম্বে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের দাবি তুলেছে তৃণমূল। তারা জানিয়েছেন, এটাই বিজেপির আসল রূপ। ওরা বিদ্বেষে এতটাই ব্যস্ত যে ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাকেও বিষাক্ত ধর্মান্ধতার শিকার হতে হচ্ছে। বিজেপির যদি এতটুকুও লজ্জা থাকে, তাহলে কর্নেল সোফিয়া ও দেশের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুক।

একই সুরে কংগ্রেস, ভারতের কন্যা কর্নেল সোফিয়াকে নিয়ে গোটা দেশ গর্বিত। কিন্তু, বিজেপি নেতা তাকে নিয়ে অত্যন্ত অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন। এটা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অপমান। এরপরই বিজেপিকে উদ্দেশ করে কংগ্রেসের কটাক্ষ, বিজয় শাহ নিজেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন। এখন বিজেপি কি তার পদত্যাগ চাইবে? এই ধরনের জঘন্য মানসিকতার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও শীর্ষ বিজেপি নেতারা কি ক্ষমা চাইবেন? নাকি বিজয় শাহকে পুরস্কৃত করা হবে?

প্রসঙ্গত, ভিডিওতে কোথাও সোফিয়ার নাম করেননি মন্ত্রী। কিন্তু, তিনি যে বারবার কর্নেলকেই নিশানা করেছেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত কংগ্রেস নেতৃত্ব।

তবে বিজেপি নেতা বিজয় শাহ সমোলাচনার মুখে বলেছেন, তার মন্তব্য বিকৃত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পেহেলগামে কথিত সন্ত্রাসী হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে দেশটির অভ্যন্তরে হামলা চালায় ভারত। ‘অপারেশন সিঁদুর’ শীর্ষক অভিযানে পাকিস্তানের অন্তত ৩৫ নাগরিকের মৃত্যুসহ বেশ কিছু ক্ষতি হয়। এর জবাবে পাকিস্তানও ভারতের অভ্যন্তরে ‘বুনিয়ানুম মারসুস’ অভিযান পরিচালনা করে। এতে ভারতেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই দেশ। এরপর থেকেই ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধে উভয়পক্ষই বিজয়ী দাবি করে আসছে। ভারতীয় সেনাদের বিজয়গাথা মুখে মুখে ফিরছে দেশটির জনগণের।

ঊষার আলো-এসএ