কর্মকর্তাদের ‘নিপীড়নমূলক বদলির’ আদেশ প্রত্যাহার এবং চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করা হলে শনিবার থেকে সব কর অঞ্চল, ভ্যাট অফিস এবং কাস্টমস স্টেশনে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। তার আগ পর্যন্ত কলমবিরতি কর্মসূচি চলমান থাকবে।
একই সঙ্গে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জোটটি এনবিআরকে আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা মেনে অটোমেশন, জবাবদিহি নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি জনবান্ধব ও সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে রূপরেখা দেবে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও রাজস্ব ভবনের নিচে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। বক্তব্য দেন পরিষদের সভাপতি হাসান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইতোমধ্যে জারীকৃত প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক সব বদলি আদেশ বাতিল না করা হলে মঙ্গলবার (আজ) আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতির পাশাপাশি চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ চলবে। এ সময়ের মধ্যে বদলির আদেশ বাতিল করা না হলে ২৫ ও ২৬ জুন দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে কলমবিরতি চলবে। ২৭ জুনের মধ্যে বদলির আদেশ বাতিল এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী সচিব এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করা হলে ২৮ জুন থেকে আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৭ জুলাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে একটি জনবান্ধব ও সেবাধর্মী এনবিআরের রূপরেখা দেবে ঐক্য পরিষদ। যাতে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা, অটোমেশন, সার্ভিস ডেলিভারি, ইন্টেগ্রিটি, জবাবদিহিতা, চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা তুলে ধরা হবে।
লিখিত বক্তব্যে হাসান মোহাম্মদ তারেক রিকাবদার বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ৪৪ আমলার (ইতোমধ্যে ৬ জনকে অবসরে পাঠানো হয়েছে) তালিকায় ৩ নম্বরে থাকা বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যান রাজস্বব্যবস্থা সংস্কারে সরকারের সদিচ্ছাকে পদে পদে বাধাগ্রস্ত করে সামগ্রিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করছেন।
রাজস্ব অধ্যাদেশ সংশোধনের লক্ষ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান নিজের পছন্দের আয়কর এবং কাস্টমস ক্যাডারের ছয়জন সদস্য সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এ কমিটিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কোনো প্রতিনিধিকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি, এমনকি কমিটি গঠনে কোনো আলোচনাও করা হয়নি। এমন সব ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা হয়েছে, যারা অধ্যাদেশ সংশোধনের বিরোধী মনোভাব সম্পন্ন।
ঊষার আলো-এসএ