যুদ্ধবিরতির ২ দিন পর নীরবতা ভাঙলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় সংঘাতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরান বিজয়ী হয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।
পোস্টে খামেনি বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্রের আঘাতে জায়নিস্ট শাসন ব্যবস্থা তাদের সব দাবি ও অহংকারের সঙ্গে প্রায় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। প্রতারণাপূর্ণ জায়নবাদী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিজয় উপলক্ষে আমি দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো বার্তা দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।আজ খামেনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামেও তার অ্যাকাউন্টে ফারসি ভাষায় আরেকটি বার্তা পোস্ট করেছেন।
এতে তিনি বলেন, তৃতীয় বারের মতো অভিনন্দন, ইরানি জাতির ঐক্যের জন্য অভিনন্দন। প্রায় ৯ কোটি মানুষের একটি জাতি সশস্ত্র বাহিনীর সমর্থনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিল।
খামেনি বলেন, ইরানি জাতি তার স্বতন্ত্র চরিত্র প্রদর্শন করেছে এবং দেখিয়েছে যে, প্রয়োজনে এই জাতির পক্ষ থেকে একটিই কণ্ঠস্বর শোনা যাবে। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার দপ্তরের বরাত দিয়ে ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শিগগিরই এ ইস্যুতে জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি।
ইসরাইলের সঙ্গে ১২ দিন যুদ্ধের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি করেছে ইরান। এর পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অনুপস্থিতি নিয়ে দেশটির জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে বলে বুধবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশজুড়ে মানুষ যখন উৎকণ্ঠায়, তখন ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক উপস্থাপক সরাসরি প্রশ্ন তুলেন খামেনি এখন কোথায়? এ প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক অঙ্গন আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘মানুষ সর্বোচ্চ নেতাকে নিয়ে খুবই চিন্তিত’, গত মঙ্গলবার উপস্থাপক আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির দপ্তরের এক কর্মকর্তাকে এ কথা বলেন। তিনি জানতে চান, ‘তার কী অবস্থা, বলতে পারেন?’
উপস্থাপক ওই কর্মকর্তাকে জানান, দর্শকদের কাছ থেকে এই একই প্রশ্নে ভরে গেছে বার্তাকক্ষ। তবে খামেনির আর্কাইভ দপ্তরের কর্মকর্তা মেহদি ফাজায়েলি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
উলটো ফাজায়েলি বলেন, ‘আমরাও অনেক জায়গা থেকে এমন উদ্বেগের খবর পাচ্ছি। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ বোমা হামলার পর আয়াতুল্লাহর নিরাপত্তা নিয়ে বহুজন উদ্বিগ্ন।’‘আমাদের সবাইকে তার জন্য দোয়া করতে হবে,’ বলেন ফাজায়েলি।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সর্বোচ্চ নেতাকে রক্ষা করা যাদের দায়িত্ব, তারা কাজ ভালোভাবেই করছেন। আল্লাহ চাইলে, আমাদের জনগণ তাদের নেতাকে সঙ্গে নিয়েই বিজয় উদযাপন করতে পারবেন।’
ঊষার আলো-এসএ