UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদানির সব বকেয়া পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ

ঊষার আলো রিপোর্ট
জুলাই ২, ২০২৫ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আদানি ইস্যুতে এবার বড় কাজটি করে ফেলেছে সরকার। গত মাসে আদানি পাওয়ারের ৪৩৭ মিলিয়ন ডলার মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে কোম্পানির সব বকেয়া পাওনা শোধ হয়ে গেল।

পাওনা সংক্রান্ত ঝামেলা না থাকায় আদানি পাওয়ারকে তাদের ভারতের ঝাড়খণ্ড কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকেই নির্ধারিত হারে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।

পিটিআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারত গত জুনে এ কোম্পানিকে ৪৩৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। যা এককালীন সর্বোচ্চ পরিশোধ। এর মধ্য দিয়ে আগের বকেয়া, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যয় এবং বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয়ের মীমাংসা হয়ে গেছে। এখন আর কোনো বকেয়া নেই, বরং দুই মাসের বিলের সমপরিমাণ এলসি (ঋণপত্র) এবং সব বকেয়ার জন্য সার্বভৌম গ্যারান্টিও বাংলাদেশ দিয়ে রেখেছে।

বকেয়া না থাকায় বিপিডিবি আদানি পাওয়ারকে তাদের ঝাড়খণ্ড কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকেই নির্ধারিত হারে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।

ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, গত তিন-চার মাস ধরে ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার করে পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ।

আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর চুক্তি করে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। ২৫ বছর মেয়াদি ওই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় ২০০ কোটি ডলার ব্যয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আদানি পাওয়ার।

১৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ওই কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছিল আদানি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বকেয়া আদায়ে গত বছরের ৩১ অক্টোবর বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করে দেয় এ ভারতীয় কোম্পানি।

অন্যদিকে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে করা চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে উচ্চ পর্যায়ের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে ১৯ নভেম্বর একটি নির্দেশ দেয় বাংলাদেশের হাইকোর্ট।

এনডিটিভি বলছে, বাংলাদেশের চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের বিষয়টিও সুরাহা হয়ে গেছে। এতে নেতিবাচক কিছু পাওয়া যায়নি।

এমন প্রেক্ষাপটে ঋণদাতারা আশা করছেন, আদানি পাওয়ার লিমিটেডের (এপিএল) ঋণ মান ‘এএ’ থেকে ‘এএ+’ এ উন্নীত হয়ে যেতে পারে।

ঊষার আলো-এসএ