UsharAlo logo
শনিবার, ১৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে এইচওডি-পিআরডি হিসেবে যোগ দিলেন প্রদীপ্ত মোবারক

ঊষার আলো রিপোর্ট
জুলাই ১৭, ২০২৫ ৫:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কবি, সাংবাদিক ও প্রবন্ধিক প্রদীপ্ত মোবারক স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের এইচওডি-পিআরডি হিসেবে যোগদান করেছেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন খ্যাতনামা যোগাযোগ ও জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ, যিনি এর আগে উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে জনসংযোগ প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আধুনিক বাংলা কবিতার এক সুপরিচিত মুখ প্রদীপ্ত মোবারক। বাংলাদেশ ও ভারতের কলকাতার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে তার কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হয়। প্রেম ও দ্রোহ, সমাজচেতনা ও দেশপ্রেম—এই বিষয়গুলো তার কবিতা ও প্রবন্ধে প্রাধান্য পায়। তার লেখার প্রধান বৈশিষ্ট্য আধুনিকতা। পেশাগত দক্ষতা, সাহিত্যভাষ্য এবং সাংগঠনিক নেতৃত্বের মেলবন্ধনে তিনি দেশের শিক্ষা ও সাহিত্য অঙ্গনে নিজের একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছেন।

কবি প্রদীপ্ত মোবারক ২৫ মে, ভোলা জেলার সদর থানার আলীনগর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের সাহেবের কাচারি মাতামহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবুল কাশেমের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। মাতামহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবুল কাশেমের ৫ সন্তানের মধ্যে বড়ো মেয়ে আমেনা পারভিনের গর্ভে জন্মনেন কবি, সাংবাদিক ও প্রবন্ধিক প্রদীপ্ত মোবারক। তার মাতামহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবুল কাশেমে ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী। ছোটবেলা থেকেই মাতামহ এর আদর্শকে ধারণ এবং অনুসরণ করতেন কবি প্রদীপ্ত মোবারক। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি কাব্যচর্চা ও স্বদেশপ্রেমী হিসেবে বেশ উৎসাহী ছিলেন।

কবি প্রদীপ্ত মোবারকের শিক্ষা জীবনের সূচনা হয় জন্মস্থান ভোলা সদর জেলার আলিনগর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের সাহেবের কাচারি ৫১নং আলীনগর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় ও আলীনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যদিয়ে। এর পরে উচ্চতর বিদ্যার্জনের জন্য তিনি ভর্তি হন রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজে। পরে প্রদীপ্ত মোবারক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি সমাপ্ত করেন। প্রদীপ্ত মোবারক একজন উচ্চশিক্ষিত পেশাজীবী যিনি জনসংযোগ ও যোগাযোগ বিজ্ঞানে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়জীবন থেকেই তিনি সাহিত্য ও সাংগঠনিক নেতৃত্বের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বাংলা কবিতার ছন্দ নিয়ে গবেষণার কাজ করেছেন কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বর্তমানে কবি প্রদীপ্ত মোবারক স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের এইচওডি-পিআরডি হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ২০১০ সালের মার্চ মাসে সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করেন বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক পত্রিকা দৈনিক সমকালে। তখন থেকেই প্রদীপ্ত মোবারকের সাংবাদিকতা জীবনের সূচনা হয়। তার মামা ও বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি ও সাংবাদিক নাসির আহমেদের সান্নিধ্যে এসে সাহিত্যের প্রতি তার উৎসাহ আরো বেশি বেড়ে যায়। কবিতা, প্রবন্ধ, ছোটগল্পের আঙ্গনে তার পদার্পন হয় কবি নাসির আহমেদের হাতে খড়ির মধ্য দিয়েই। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় পর্যায়ের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স গণ-মাধ্যমে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করেন প্রদীপ্ত মোবারক। এর পরে তিনি গণমাধ্যম ছেড়ে কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। কখনো তিনি শিক্ষকতায়, কখনো এমিনিস্ট্রেশনে, কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক রিলেশনেও কাজ করেছেন। এখানেই তিনি থেকে থাকনেনি, গবেষণার প্রতি প্রবল উৎসাহ ও আকাঙ্খা থাকায় গবেষণার কাজ শুরু করেন বাংলা কবিতায় ছন্দ নিয়ে। তিনি “বাংলা কবিতায় ছন্দ” এই বিষয়ের উপরে গবেষণার কাজ করেছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

প্রকাশিত কবিতা সমূহ: রাঁধা প্রেম – যায়যায়দিন; বিষন্ন সুন্দর-ইত্তেফাক; শূণ্যতার সৌন্দর্য – দেশ রূপান্তর; আমি অশ্লীল – সমকাল; পরিযায়ী- বাংলাট্রিবিউন; ভেজা শীতসন্ধ্যা – আমাদের সময়; পোড়া কাগজ – ঢাকা ওয়েব; পরবর্তী সময় – আমাদের সময়; আদিম অভ্যাস – সমকাল; স্তব্ধ রাতের আশ্রয়ে – আমাদের সময়; মৃত্যু – আমাদের সময়; তুমি – আমাদের সময়; তুমি বাধ্য নও – ঢাকা ওয়েব; নিভে যাচ্ছে আলো – আমাদের সময়; প্রদীপ্ত মোবারকে’র ৫টি কবিতা- দৈনিক জাগরণ।

প্রকাশিত প্রবন্ধ সমূহ: বৈচিত্র্যময় নজরুল- কালের কন্ঠ; ভাষা আন্দোলন ও বাংলা সাহিত্য- দেশরূপান্তর; শৈল্পিক সৌন্দর্য ও মানবতাবাদে লালন ফকির- দেশরূপান্তর; আধুনিক বাংলা সাহিত্যে কবি ও কবিতা- কালের কন্ঠ; স্পর্শকাতর অনুভূতির নামই ভালোবাসা – সমকাল; সূর্য সন্তানের জন্মদিন ও কিছু কথা- ঢাকা ওয়েব; বাংলা সাহিত্যে নারী কলম ও কাগজের মতোই অনিবার্য- আমাদের সময়; অস্তিত্ব সংকটে মাতৃভাষা বাংলা – বাংলাদেশ প্রতিদিন; অসহিষ্ণুতার অধর্ম এক সামাজিক ব্যাধি – যায়যায়দিন।

ঊষার আলো-এসএ