UsharAlo logo
শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বামীর দেওয়া পায়ের শিকলসহ মহিলা বিষয়ক অফিসে গৃহবধূ

usharalodesk
মে ২৩, ২০২১ ৪:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মণিরামপুর প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুরের ঢাকুরিয়ার চাপাকোনা গ্রামের গৃহবধূ সাবিনা খাতুন (৩০)। স্বামী বিল্লাল হোসেন নেশাখোর বদমেজাজি। নেশা করে বাড়ি ফিরে নির্যাতন করেন স্ত্রী সাবিনাকে। পায়ে শিকলি পরিয়ে রাখেন তালাবন্দি করে। আবার স্বাভাবিক হলে খুলে দেন সেই শিকলি। এভাবে থেমে থেমে চলে সাবিনার ওপর নির্যাতন। রোববার (২৩ মে) সকালে একইভাবে সাবিনা খাতুনের পায়ে শিকল পরান বিল্লাল হোসেন। কোন প্রকার ছাড়া পেয়ে দুপুরে পায়ে পরানো সেই শিকলসহ উপজেলা মহিলা বিষায়ক অফিসে হাজির হন সাবিনা খাতুন। এরপর সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ দেবনাথ ফায়ারসার্ভিসের সহায়তায় তালা ভেঙে শিকলমুক্ত করেন সাবিনাকে। পরে তাকে ঝিকরগাছা এলাকায় পিতার বাড়িতে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেন এসিল্যান্ড। মণিরামপুর মহিলা বিষয়ক অফিসের ক্রেডিট সুপারভাইজার শহিদুল ইসলাম বলেন, পায়ের শিকল ও তালাসহ অফিসে এসে দুই সন্তানের জননী সাবিনা খাতুন জানান, তার স্বামী নেশাখোর। নেশা করে বাড়ি ফিরলে সাবিনা প্রতিবাদ করলে তাকে নির্যাতন করে শিকলবন্দি করে রাখেন। প্রায়ই এভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়। সাবিনাকে এসিল্যান্ডের অফিসে নেওয়ার পর আমি সরেজমিন চাপাকোনা গ্রামে ওই নারীর স্বামীর বাড়িতে গিয়েছি। কিন্তু সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। আশপাশের লোকজন যা বলেছেন তার সাথে সাবিনার অভিযোগের মিল রয়েছে। মণিরামপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তার বলেন, আমার অফিসে আসার পর সাবিনাকে এসিল্যান্ডের অফিসে নেওয়া হয়। সবশুনে এসিল্যান্ড ফায়ারসার্ভিসে খবর দেন। পরে ফায়ারসার্ভিসের লোক এসে শিকল কেটে সাবিনাকে মুক্ত করেন। আমরা সাবিনাকে মামলা করতে বলেছি। তিনি রাজি হননি, বলেন মৌসুমী আক্তার। সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ দেবনাথ বলেন, ওই নারীর পায়ের শিকলি কেটে তাকে ঝিকরগাছায় পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই নারী চাইলে তাকে আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।

(ঊষার আলো-আরএম)