ঊষার আলো প্রতিবেদক : নগরির খানজাহান আলী থানাধীন আটরা গিলাতলায় খাদিজা আক্তার রুনু(৩৮) হত্যায় জড়িত স্বামী এনামুল হাসান আকুঞ্জি ওরফে মামুন (৪২) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার আসামি নিহতের স্বামি এনামুল হাসান আকুঞ্জি ওরফে মামুন (৪২) কে মামলা দায়েরের ৪৮ ঘন্টা পর খানজাহান আলী থানা পুলিশ বুধবার গভীর রাতে যশোর জেলার অভয়নগর থানার ঘোড়াদাইড় এলাকা থেকে আটক করেছে। এরপর বৃহস্পতিবার(২৭) দুপুরে খুলনা মহানগর হাকীম তরিকুল ইসলামের আদালতে আসামী মামুনকে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারা মোতাবেক দেওয়া জবানবন্দিতে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে নিজের দোষ স্বীকার করেন। এরপর আদালত আসামী মামুনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান , কেএমপি’র ডিসি নর্থ মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন এর দিক নির্দেশনায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (উত্তর) এডিসি মোঃ শাহাবুদ্দিন , সহকারী পুলিশ কমিশনার (দৌলতপুর জোন) অমিত কুমার বর্মন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা লুৎফুল হায়দার অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে যশোর জেলার অভয়নগর থানার ঘোড়াদাইড় থেকে আটক করা হয় । আসামিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তোলা হলে নিজ স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় নিজের দোষ স্বীকার করেন ।
উল্লেখ্য, খানজাহান আলী থানাধীন আটরা গিলাতলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের গ্যারিসন (লাল পিলার)সংলগ্ন মাত্তমডাঙ্গার মৃত শহীদের কন্যা খাদিজা আক্তার রুনু (৩৮) এর সাথে ডুমুরিয়া এলাকার মামুনের সাথে প্রায় ১২ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। তাদের কোন সন্তানাদি ছিলোনা। খানাজাহান আলী থানার মাত্তমডাঙ্গা এলাকার মিরাজের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। গৃহবধূ রুনু গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাপড় বিক্রি করতেন এবং তার স্বামী মামুন সিএনজি চালিয়ে জিবিকা নির্বাহ করতেন। রুনুর মা আমেনা বেগম ২৩ মে রবিবার দুপুরের পর রুনুর এবং তার স্বামী মামুনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরও কেউ ফোন ধরেনি। পরে দুই জনের মোবাইল বন্ধ পেয়ে সন্ধার দিকে স্থানিয় ইউপি সদস্য মাহমুদ হাসানের কাছে যায়। রাত ১০টায় ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে রুনুর ভাড়া বাড়িতে গিয়ে ঘরের মেঝেতে রুনুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে । পরে ইউপি সদস্য মাহমুদ হাসান থানা পুলিশকে খবর দিলে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এঘটনায় নিহত রুনুর মা আমেনা বেগম বাদি হয়ে রুনুর স্বামি এনামুল হাসান আকুঞ্জি ওরফে মামুন কে আসামি করে গত ২৪ মে সোমবার খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করে যার নং ১১ ।