রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল): দেশের নির্বাচনী ইতিহাসে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা যেখানে সংঘাত-সংঘর্ষে জড়িয়ে চির শত্রুতার সৃষ্টি করে একে অপরের মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ করে দেন সেখানে বরিশালের বানারীপাড়ায় ইউপি নির্বাচনে দু’ প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী একে অপরকে ভোট দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। উপজেলার সদর ইউনিয়নের আলতা গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য প্রার্থী সুধীর রায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আঃ রহমানের মোরগ প্রতীকে এবং আ. রহমান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সুধীর রায়ের আপেল প্রতীকে ভোট দেন। তারা একত্রে গলা ধরাধরি করে সোমবার (২১ জুন) আলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে প্রকাশ্যে একে অপরকে ভোট দেন। বুথ থেকে বের হয়ে দুজন একত্রে আঙ্গুল তুলে বিজয়ের ভি চিহ্ন দেখান।
এছাড়া দুপুরে তারা একত্রে বসে খাবার খান এবং ভোট গ্রহণের পুরোটা সময় তারা স্কুল মাঠে পাশাপাশি চেয়ারে বসে ভোটারদের ইশারায় আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। তাদের উদারতার এ বিষয়টি ভোটারদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলে। দুুজনই তাদের জয়ের ব্যপারে শতভাগ আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু বেলা শেষে ভোট গননার পরে প্রতিদ্বন্দ্বী আ. রহমানের চেয়ে ১০৬ ভোট বেশী পেয়ে সুধীর রায় দ্বিতীয় বারের মতা বিজয়ের হাসি হাসেন।
এ প্রসঙ্গে বিজয়ী ইউপি মেম্বার প্রার্থী সুধীর রায় বলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আঃ রহমান আমার কাছে ভোট চাইলে আমি তার প্রতীকে ভোট দেই। প্রার্থী ছাড়াও আমরা তো দুজন ভোটারও। সুতরাং একজনের কাছে আরেকজন ভোট দাবি করাটা স্বাভাবিক। জয়-পরাজয় স্রষ্টার ওপর নির্ভর করে। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরী করতে তার দাবি পূরণ করেছি। এখন এলাকার উন্নয়নে দুজন একত্রে কাজ করবো।
এ প্রসঙ্গে বিজয়ী ইউপি মেম্বার প্রার্থী সুধীর রায় বলেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আঃ রহমান আমার কাছে ভোট চাইলে আমি তার প্রতীকে ভোট দেই। প্রার্থী ছাড়াও আমরা তো দুজন ভোটারও। সুতরাং একজনের কাছে আরেকজন ভোট দাবি করাটা স্বাভাবিক। জয়-পরাজয় স্রষ্টার ওপর নির্ভর করে। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরী করতে তার দাবি পূরণ করেছি। এখন এলাকার উন্নয়নে দুজন একত্রে কাজ করবো।
এ বিষয়ে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী সাবেক মেম্বার আঃ রহমান বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হলেও ব্যক্তিগতভাবে আমাদের দুজনের সম্পর্ক খুবই ভাল। তার কাছে আমি আর আমার কাছে তিনি ভোট দাবি করায় এরমধ্য দিয়ে উভয়ের দাবি পূরণের পাশাপাশি ভোটাররাও উচ্ছ্বসিত হয়েছেন এবং কর্মী-সমর্কদের মাঝে সৃষ্ট বিভেদ নিরসনের পথ কুসুমাস্তির্ণ হয়েছে।
এদিকে প্রকাশ্যে টেবিলে ভোট দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও দু’প্রার্থীর আগ্রহ প্রকাশ ও তাদের মাঝে সৌহার্দ্যপূণ সম্পর্ক ও পরিবেশের কারনে তাদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওই কেন্দ্রের সেই ৪-৫ নম্বর বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার চাখার ওয়াজেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খোকন কুমার শীল।