UsharAlo logo
সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পানির সংকটে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা

usharalodesk
জুলাই ৬, ২০২১ ৬:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ মেহেদী হাসান, মণিরামপুর : যশোরের মনিরামপুরের মাছনায় খাস জমিতে ঠাঁই হয়েছে ৬৪টি দুস্থ পরিবারের। প্রতি পরিবারকে দুই শতক জমি লিখে দিয়ে পাকা ঘর করে দিয়েছে সরকার। রঙিন স্বপ্ন নিয়ে দুই মাস আগে রঙিন টিনের ঘরে উঠেছেন তারা। ঘর পেয়ে খুশি হলেও নানা কারণে দুর্দিনে এই পল্লীর বাসিন্দারা। একই অবস্থা হাজেরাইল ও শিরিলিসহ অন্যান্য গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের। মাছনা গুচ্ছগ্রামে ৬৪ পরিবারের জন্য রয়েছে একটি মাত্র টিউবওয়েল। তাও সেটি গভীর নলকুপ নয়। এই এক টিউবওয়েল থেকে পানি নিয়ে যাবতীয় কাজ সারতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের। ফলে কলপাড়ে ভিড় লেগে থাকে রাত-দিন। পল্লীগুলোতে ১০ পরিবার প্রতি একটি করে আর্সেনিকমুক্ত নলকুপ স্থাপনের সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটা কার্যকর হয়নি। কর্তৃপক্ষ বলছেন, গুচ্ছগ্রামে পানির সমস্যা দ্রুত নিরসন করা হবে। সম্প্রতি আশ্রয়ণ পল্লীগুলো ঘুরে এমন তথ্য মিলেছে। সরেজমিন এক বিকেলে মাছনা গুচ্ছগ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কলপাড়ে পানি নেওয়ার জন্য পাত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছেন বহু নারী। এক যুবক কলে গোসল করছেন। এসময় কথা হয় তাদের সাথে। পলি খাতুন নামে এক নারী বলেন, ঘরের কাজ চলার সময় একটা কল পুতিলো। সেই কল দিয়ে আমাগের চলতি হচ্ছে। সকাল-দুপুর-সন্ধ্যেয় কলপাড়ে ভিড় লাইগে থাকে। কোন সময় ফাঁকা পাওয়া যায় না। এক কলের পানিতে সবার রান্না,খাওয়া, গোসল ও ধোয়াপালা। কলের আশপাশের লোকজনের কষ্ট কম হলিও দূরের ঘরওয়ালাগের মেলা কষ্ট। পলি খাতুন বলেন, কয়দিন আগে কারেন্ট আইছে। এরআগে গরমে থাকতি পারতাম না। রাস্তায় ঘরের সামনে কাদা। হাঁটা যায়না। একই পল্লীর বিল্লাল হোসেন বলেন, দুপুরি গোসলের জন্যি লাইন দেয়া লাগে। আমি দুপুরতে অপেক্ষা কইরে সন্ধি বেলায় সুযোগ পাইছি। শিরিলি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা শামিম হোসেন বলেন, আমাগের ৩৭ টি ঘর করার সময় দুটো কল পুতিলো। সেগুলো আমরা ব্যবহার করতিছি। বেশিরভাগ সময় ভিড় লাইগে থাকে। চলতি বছর মণিরামপুরে ভূমিহীন ২৯২টি পরিবার সরকারি পাকা ঘর পেয়েছে। যেখানে ১০টি অধিক ঘর রয়েছে সেখানে আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তর সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করার কথা। মনিরামপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব দত্ত বলেন, খাস জমিতে সরকারি ঘর পাওয়াদের জন্য ২৮টি আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল বরাদ্দ হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত  কাজ শুরু হবে।

(ঊষার আলো-আরএম)