UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যানের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

usharalodesk
জুলাই ১৮, ২০২১ ৪:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে একটি অস্থায়ী পশুরহাট ইজারা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় জেলা প্রশাসকের কার্য্যলয়ে রাষ্ট্রীয় ভাতাভোগি দুই মুক্তিযোদ্ধাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলা ও গালিগালাজ করার অভিযোগে একজন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রবিবার(১৮জুলাই) বেলা ১২টায় মুক্তিযোদ্ধাদের এ সংবাদ সম্মেলনের পরপরই ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন অস্থায়ী পশুরহাট ইজারা গ্রহনকারি এক মুক্তিযোদ্ধা। সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনকারি সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক তরফদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, নব্য আওয়ামী লীগ নেতা বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলী গত শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্য্যলয়ের সামনের বারান্দায় আামাকে এবং দেপাড়া গ্রামের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মোশারেফ হোসেন হালদার (কালা হালদার) কে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে চরম অপমান করে। ওই সময়ে জেলা প্রশাসকের কার্য্যলয়ে মুক্ষাইট স্কুল মাঠে অস্থায়ী গরুর হাট বসানো নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আপত্তির শুনানির দিন ছিল। এ অপমান বয়সের শেষ সময়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আমাদের জন্য খুবই লজ্জাজনক হয়ে দাড়িয়েছে। এরপর চেয়ারম্যান শমসের আলীর এ অপ্রিতিকর ঘটনার কারনে জেলা প্রশাসন পশুরহাট নিয়ে শুনানিতে সকল মুক্তিযোদ্ধাকে অংশ গ্রহনের সুযোগ দেয়নি। বরং করোনা মহামারির মধ্যে জেলা প্রশাসন মুক্ষাইট বাবুরহাটে অস্থায়ী পশুরহাট বসানোর অনুমোদন দিয়েছে। যা একই ইউনিয়নের পার্শবর্ত্তি দেপাড়া বাজারের রেজিষ্টার (স্থায়ী) পশুরহাটের সাথে সাংঘর্ষিক। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয় গোটাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শমসের আলী জেলা প্রশাসেনর কার্যলয়ে শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান অপদস্থ করে নাই। এর আগে পশ্চিমভাগ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা মজিদ মল্লিক কে লাঞ্চিত করেছে। বিশেষ ব্যবস্থায় নৌকা প্রতিক পেয়ে বিনাভোটে চেয়ারম্যান হয়েই শেখ শমসের আলী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া সামাজিক নিরাপত্তার জন্য বিধবা ও বয়স্ক ভাতা ভোগিদের ভাতা প্রদানে ঘুষ আদায় করতে গিয়ে হাতে-নাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনায় সমাজসেবা থেকে মামলা হয়। এ অপরাধে চেয়ারম্যান শমসের আলী সাময়িক বরখাস্থ হন এবং জেল-হাজতে বন্ধি থাকে। অথচ, অজ্ঞাত কারনে ষ্পর্শকাতর এ অপরাধের বিচার হয়নি। এই চেয়ারম্যান এলাকার কতিপয় নোংরা মন-মানসিকতার মানুষ কে সাথে নিয়ে জাতির শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান, প্রধানমন্ত্রীর সফল কর্মসুচি সামাজিক নিরাপত্তার অর্থ প্রদানে অনিয়ম -দুনীর্তি, নাগরিক সেবায় নানা হয়রানি করে গোটা ইউনিয়নবাসিকে অতিষ্ট করে তুলেছে। যার কারনে মুক্তিযোদ্ধাসহ ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা কষ্ট পাচ্ছে। তাই অত্যাচারি ও দুর্নীতিবাজ এই চেয়ারম্যানের বিচার দাবীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দৃষ্টি কামনা করছি। আব্দুল খালেক তরফদার অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠা করেন যুদ্ধাপরাধি মামলার স্বাক্ষী মীর আব্দুর রাজ্জাক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ মল্লিক, সোলায়মান হালদার, শেখ মোহাম্মাদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান নান্নু ও আজিজুর রহমানসহ অন্যান্যরা। এদিকে , গোটাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলীর পক্ষে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্ষাইট বাবুর হাট অস্থায়ী পশুরহাটের ইজারাদার মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম। তিনি বলেন, বাবুরহাটে অস্থায়ী পশুরহাট বসিয়ে গোটাপাড়া ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ও মুক্তিযোদ্ধারা লাভবান হয়। এখানের আয় থেকে এলাকার ৩ টি মসজিদে সহযোগিতা দেয়া হয়। চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলী কোন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করেনি। তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কাছে মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ করেছে। যা তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। এ সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যানে পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী, আকবর আলী মল্লিক, মারুফুল হক, রুস্তুম আলী, আলী আহম্মেদ,ইউসফ আলী হালদারসহ বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মেম্বরবৃন্দ।

(ঊষার আলো-আরএম)