ঊষার আলো ডেস্ক : কাঁচামরিচ আমরা সাধারণত প্রতিদিনই খেয়ে থাকি। তবে চিকিৎসকদের মতে, কেবল স্বাদ বাড়াতেই নয়; কাঁচামরিচে রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর দিকও। কিন্তু অতিরিক্ত ঝাল খাদ্যনালির ক্ষতি করে। পরিমাণমতো কাঁচামরিচের নানা ভালো দিক রয়েছে।
কাঁচামরিচ ভিটামিন সির একটি অত্যন্ত ভালো উৎস। এতে আরও রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-৬, কপার, লোহা, পটাশিয়াম, অল্প পরিমাণে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট। এছাড়াও কাঁচামরিচে রয়েছে পানি এবং ক্যারোটিন-এ, ক্যারোটিন-বি, লিউটেইন-জিজান্থিনের মতো ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পাকস্থলীর ক্যানসারসহ বিভিন্ন অসুখের ওষুধ হিসেবে কাঁচামরিচের ব্যবহার রয়েছে। আসুন জেনে নেই কাঁচামরিচের সব ঔষধিগুণ।
পাকস্থলীর ক্যানসার-
কাঁচামরিচ পাকস্থলীর ক্যানসার এবং পাকস্থলীর যে কোনও রোগ নিরাময় করে। এছাড়াও লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় রাখতে মরিচ খেলে লালা উৎপন্ন হয়, যা খাবার ভালোভাবে চিবানোতে ও হজম করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস-
কাঁচামরিচে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়াও পাশাপাশি কাটাছেঁড়ার ক্ষেত্রে রক্তপাতও বন্ধ করে এটি।
ইমিউনিটি-
কাঁচামরিচের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ রয়েছে, যা শরীরের জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায়তা করে।
হজম-
ডায়েটারি ফাইবারে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে কাঁচামরিচ হজমের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। এছাড়াও ঠাণ্ডার সথে লড়তে সাহায্য করে কাঁচামরিচ। হঠাৎ ঠাণ্ডা সমস্যা এবং সাইনাসের সমস্যা হতে বাঁচায় কাঁচামরিচের থাকা ক্যারাসাসিন।
ফুসফুস-
প্রতিদিন কাঁচামরিচ খেলে ঠাণ্ডা, কাশি এমনকি ফুসফুসের ক্যানসারও প্রতিরোধ করা সম্ভব। এছাড়া কাঁচামরিচ টিস্যু পুনর্গঠন করে, নতুন রক্তকোষ তৈরি করে এবং হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী করে।
তারুণ্য ধরে রাখে-
যারা নিয়মিত কাঁচামরিচ খেয়ে থাকেন তাদের ত্বক থাকে বলিরেখামুক্ত। এটি বয়সকে ধরে রাখতে জাদুকরি এক উপাদান। এছাড়াও মন ভালো রাখে এবং মস্তিষ্কে এনডোরফিন হরমোন উদ্দীপক। ফলে মন ভালো রাখতে কাঁচামরিচ দারুণ উপকারী।
কোষ্ঠকাঠিন্য-
কাঁচামরিচ শরীর হতে ক্ষতিকর টক্সিন অপসারণ করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করা যায়। এটি ডায়েটারি ফাইবারের ভালো উৎস বলে বৌল সিস্টেমের কাজ সঠিকভাবে হতে সাহায্য করে।
ওজন হ্রাস-
এই কাঁচামরিচ বাড়তি মেদ ঝরায়। এছাড়া বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি করে ওজন কমানোতেও সাহায্য করে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)