মণিরামপুর প্রতিনিধি : ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় অটোপাশ করা মণিরামপুরের বহু পরীক্ষার্থী আজও টাকা ফেরত পাননি। একাধিকবার কলেজে যোগাযোগ করলেও প্রতিষ্ঠান প্রধানরা তাদের টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহানা করছেন।
টাকা না দেওয়ার তালিকায় রয়েছে পলাশী আদর্শ কলেজ, মাতৃভাষা কলেজ ও মনোহরপুর কারিগরি কলেজ। বিজ্ঞান বিভাগের প্রতি পরীক্ষার্থী ১০৬৫ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায়ী শাখার পরীক্ষার্থীদের ৭৪০-৮৪০ টাকা করে ফেরত দেওয়ার জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ড অনেক আগেই কলেজগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।
পলাশী কলেজ থেকে গেল বছর ১৮৯ জন, মাতৃভাষা কলেজ থেকে ৮৯ জন ও মনোহরপুর কারিগরি কলেজ থেকে দুই সেমিস্টারে ৩০০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। মঙ্গলবার (১৭ আগষ্ট) মোবাইল ফোনে খোঁজ নিতেই এই তিন প্রতিষ্ঠান প্রধান দ্রুত টাকা হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন।
পলাশী কলেজের একাধিক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ঈদুল আজহার আগে মোবাইলে ম্যাসেজ এসেছে। কলেজে বারবার গিয়েছি টাকা আনতে। অধ্যক্ষ স্যার টাকা না দিয়ে মার্কসীট ও প্রশংসাপত্রের জন্য উল্টো ৪০০ করে টাকা চাচ্ছেন। আমরা পাওনা টাকা চাইতে গেলে অভিভাবক নিয়ে যেতে বলছেন।
মাতৃভাষা কলেজের পরীক্ষার্থীরা বলেন, কলেজে টাকা আনতে গেলে অধ্যক্ষ স্যার বলছেন এখনো টাকা আসিনি। এদিকে মণিরামপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষ ৩৫৩ জন পরীক্ষার্থীর টাকা ফেরত না দিয়ে আটকে রেখেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয় গত সপ্তাহে। এরপর টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। প্রকাশিত খবর দেখে টাকা না পাওয়া অন্যান্য কলেজের পরীক্ষার্থীরা এই প্রতিবেদকের সাথে যোগাযোগ করেন। পলাশী কলেজের অধ্যক্ষ সন্তোষ কুমার বলেন, টাকা ফেরত দিইনি এখনো। আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে দেওয়া শুরু করব।
মাতৃভাষা কলেজের অধ্যক্ষ হাসানুল কবির বলেন, আমরা ২০-২২ তারিখ থেকে টাকা দেওয়া শুরু করব। আর মনোহরপুর কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান বলেন, টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে আমরা এখনো চিঠি পাইনি। দুই একদিনের মধ্যে চিঠি পাব। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
(ঊষার আলো-আরএম)