UsharAlo logo
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্দেশনা আসার আগেই মনিরামপুরে ক্লাস চালু করলেন প্রধান শিক্ষকা

usharalodesk
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১ ২:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মণিরামপুর প্রতিনিধি : আগামী ১২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলতে তোড়জোড় চালাচ্ছে সরকার। শ্রেণিকক্ষ পাঠদানের উপযোগী করতে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ।

তবে এখনি বিদ্যালয় খুলে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা না আসলেও নিজ ক্ষমতায় শিক্ষার্থীদের ডেকে ক্লাস করাচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকা। অভিযোগটি মণিরামপুরের মাহমুদকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা ঝর্ণা মিত্রর বিরুদ্ধে। গেল বৃহস্পতিবার থেকে তিনি স্কুলে ক্লাস চালু করেছেন। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১০টার দিকে সরেজমিন ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর নিয়ে এক শিক্ষককে ক্লাস নিতে দেখা গেছে।

ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান একটি কক্ষে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন। শ্রেণিকক্ষে তিন সারিতে ১৫-১৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সামনে সবার বই খোলা। সাথের ব্যাগে রয়েছে বই খাতা। উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষার্থী কারও মুখে মাস্ক নেই। নেই করোনা রোধে কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা। ইসমাইল হোসেন নামে ৪র্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, তাদের বাংলা ক্লাস চলছে। সাবিহা নামে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, কামরুল স্যার আমাদের বিজ্ঞান ক্লাস নেচ্ছেন। জানতে চাইলে শ্রেণি শিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, বাচ্ছারা বাড়ি লেখাপড়া করছে না। তাই তাদের ক্লাস নিচ্ছি। প্রধান শিক্ষকা ঝর্ণা মিত্র বলেন, আশপাশের দুটো স্কুলে ক্লাস চালু হয়েছে শুনে বৃহস্পতিবার থেকে আমরা ক্লাস চালু করেছি।

খেদাপাড়া ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালু রাখতে প্রতি সপ্তাহে ওয়ার্কশীট দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি ওয়ার্কশীট পৌঁছে দিয়ে আবার নিজেরা গিয়ে সেগুলো সংগ্রহ করার নির্দেশনা রয়েছে। এসব তদারকি করতে নিয়মিত শিক্ষকদের দুপুর ১টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। কোনক্রমে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আনার কথা নয়।

এটিও বলেন, আমি মাহমুদকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকার সাথে কথা বলেছি। তিনি ক্লাস চালু করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কেন আইন ভেঙে ক্লাস নিচ্ছেন একদিনের মধ্যে তার লিখিত জবাব ওই বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষকের কাছে চাওয়া হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেহেলী ফেরদৌস বলেন, বিদ্যালয় চালু করার কোন নির্দেশনা আসেনি। মাহমুদকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন ক্লাস চালু করা হলো সেই ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকাকে শোকজ করতে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

(ঊষার আলো-আরএম)