পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর (যশোর) : কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের মঙ্গলকোট বাজার সংলগ্ন পাঁচপোতা সড়কে ভারী যানবাহন চলতে না দেওয়ার জন্য রাস্তার বায়ে ও ডানে পিচ খুঁড়ে কাঠের গুড়ি পোতা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচলের বিঘ্ন ঘটায় কাঠের গুড়ি অপসারনের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগী মহল।
আবেদনকারীদের পক্ষে মো: শাহিনুর ইসলাম মোড়ল জানান, এলাকার পাঁচপোতা গ্রামের বারিক মোল্যার ছেলে আলমগীর হোসেন এ কাজ করেছে। বেরিকেট অপসারণের জন্য বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি আবেদন দিয়েছি যা মঙ্গলকোট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান সুপারিশ করেছেন।
আলমগীর হোসেন জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে ভারী যানবাহন চলাচলে রাস্তার যাতে ক্ষতি না হয় সেকারণে এ কাজটি করেছি। এর আগে পাওয়ারট্রলারের লোহার চাকায় পিচের ক্ষতি হওয়ায় একটি আবেদন কারেছিলাম। সেটির সরেজমিন প্রতিবেদন দুই সেপ্টেম্বর দৈনিক গ্রামের কাগজে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট গিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন, সরেজমিন বিষয়টি পরিদর্শনের জন্য ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হবে। আমার অন্যায় হলে তিনি তদন্ত করে আমার যে শাস্তি দেন তা আমি মাথা পেতে নেব।
এলাকা ইউপি সদস্য আশরাফ আলী জানান, লোহার চাকাসহ পাওয়ারট্রলার ও ভারী যানবাহন এই রাস্তা দিয়ে গেলে রাস্তার ক্ষতি হয়। আবার সে রাস্তা সংস্কার করতে সরকারের ব্যয়বহুল হয়। পিচ খুড়ে কাঠের গুড়ি না বসালে ভাল হতো।
মঙ্গলকোট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান সরদার জানান, বহুকাল পর রাস্তাটিতে মাস পাঁচেক হলো পিচ দেওয়া হয়েছে। জনগণের চাহিদা এখনো পুরণ করতে পারেনি। যতটুকু রাস্তা হয়েছে আর ততটুকু হলে পাঁচপোতাবাসীর স্বপ্ন পূরণ হতো। পাওয়ারট্রলারের লোহার চাকা লাগিয়ে পিচের রাস্তায় চলাচল করলে যেমন পিচের রাস্তার ক্ষতি হয় তেমন পিচের রাস্তার উপর কাঠের গুড়ি পুতলেও জনসম্পদসহ জনসাধারণের চলাচলের ক্ষতি হয়।
মঙ্গলকোট ইউপি চেয়ারম্যা মনোয়ার হোসেন বলেন, পাওয়ারট্রলারের লোহার চাকা লাগিয়ে পাচপোঁচা গামী পিচের রাস্তার ক্ষতি করার কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতিক্রমে তিনটি পাওয়ারট্রলার পরিষদে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে পিচের রাস্তা খুড়ে কাঠের গুড়ি পুতে জনসম্পদের ক্ষতিসহ জনগণের চলচলের বিঘ্ন ঘটানোর বিপক্ষে।